• মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট! মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সপ্তম গঙ্গারামপুরের ‘মুডি’ অঙ্কন
    প্রতিদিন | ০৩ মে ২০২৫
  • রাজা দাস, বালুরঘাট: মার্শাল আর্টে ব্ল্যাকবেল্ট। দাপুটে ক্যারাটেকার হিসেবেই এলাকায় পরিচিত অঙ্কন বসাক, এবার মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানাধিকারী। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অঙ্কনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নিবিড়ভাবে শরীরচর্চা করে গিয়েছে সে। তাতেই এমন সাফল্য, বলছেন অঙ্কনের মা। আর ছোটবেলায় বাবাকে হারানো ছেলের শখ, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের কোনও একটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা। সেইসঙ্গে অবশ্য মার্শাল আর্ট চালিয়ে যাওয়া। এই বয়সেই ব্ল্যকবেল্ট প্রাপ্ত কি না! তাই ক্যারাটের প্রতি আলাদা ভালোবাসা।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর শহরের সুভাষপল্লির বাসিন্দা অঙ্কন পিতৃহারা হয়েছে বেশ কয়েকবছর আগে। স্কুল শিক্ষিকা মা দেবী বসাক ছেলেকে নিয়ে থাকেন বাপের বাড়িতে। ছোট থেকেই মার্শাল আর্ট শেখে অঙ্কন। পাশাপাশি, ছবি আঁকার প্রতি বড় নেশা। পড়াশোনাতেও সে বরাবরের মেধাবী ছাত্র। এবার মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় নিজের নাম থাকবে বলেও আত্মবিশ্বাসী ছিল অঙ্কন। অবশেষে ৬৮৯ পেয়ে রাজ্যের তালিকায় সপ্তম হয়েছে সে। ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চায় অঙ্কন।

    জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার মার্কশিট হাতে নিয়ে অঙ্কন জানাচ্ছে, পাঁচ থেকে দশের মধ্যে থাকবে বলে আশা করেছিল। শুক্রবার বন্ধুরাই ফোন করে সবার আগে খুশির খবরটা দিয়েছিল। আপাতত বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে। একইসঙ্গে চালিয়ে যাবে মার্শাল আর্ট থেকে শরীর চর্চা। অঙ্কনের মা দেবী বসাক বলছেন, খুব ‘মুডি’ তাঁর ছেলে। কখনও বললেও পড়তে বসত না। আবার কখনও নিজে থেকেই পড়াশোনা করত। দিনে গড়ে ৬-৭ ঘন্টা পড়ত অঙ্কন। অঙ্ক আর বিজ্ঞানের বিষয়গুলি মা নিজেই ছেলেকে দেখিয়ে দিতেন। গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহুল রায় বলেন, ”অঙ্কনের উপর অনেক প্রত্যাশা ছিল। সে তা পূরণ করেছে। উজ্বল ভবিষ্যতের অধিকারী হোক অঙ্কন, এই কামনা আমাদের।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)