• ডেথ রেজিস্টারের নথিতেই মৃত ভোটারের নাম বাদ দেবে কমিশন
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৫
  • এই সময়: ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে বার বার বিড়ম্বনায় ফেলছে মৃত ভোটারের বিষয়টি। কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বছরের পর বছর মৃত ভোটারের নাম থেকে যাচ্ছে তালিকায়। বিরোধীদের সঙ্গে শাসক তৃণমূলও এ নিয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছে।

    যদিও গত জানুয়ারিতেই রাজ্যে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় কমিশন ৪ লক্ষ ৯০৭ জন মৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়েছিল। তাতেও ভোটার তালিকা থেকে শূন্য করা যায়নি মৃত ভোটারের সংখ্যা। এ বার তাই রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তথ্য ভাণ্ডারের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। যাতে মৃত ভোটারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায় নাম।

    জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ আইন অনুযায়ীই এ বার থেকে কোনও ভোটার মারা গেলে তাঁর নাম সরাসরি চলে যাবে সেই জেলার নির্বাচন আধিকারিক বা ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)–এর কাছে। তিনি বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)–কে দিয়ে সরেজমিনে যাচাই করিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেবেন। এ জন্য আর কাউকে আবেদন জানাতে হবে না। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    এতদিন কোনও ভোটার মারা গেলে তাঁর পরিবার বা প্রতিবেশী বা রাজনৈতিক দলকে উপযুক্ত নথি দিয়ে কমিশনের ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হতো। বিএলও তার ভিত্তিতে শুনানি করে বা সরেজমিনে যাচাই করে তালিকা থেকে নাম বাদ দিতেন। কিন্তু বহু সময়ে দেখা যায়, মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জন্যে উপযুক্ত নথি দিয়ে আবেদনই জমা পড়ে না।

    জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তকরণ আইন অনুযায়ীই এ বার থেকে কোনও ভোটার মারা গেলে তাঁর নাম সরাসরি চলে যাবে সেই জেলার নির্বাচন আধিকারিক বা ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)–এর কাছে। তিনি বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)–কে দিয়ে সরেজমিনে যাচাই করিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেবেন। এ জন্য আর কাউকে আবেদন জানাতে হবে না। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    এতদিন কোনও ভোটার মারা গেলে তাঁর পরিবার বা প্রতিবেশী বা রাজনৈতিক দলকে উপযুক্ত নথি দিয়ে কমিশনের ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হতো। বিএলও তার ভিত্তিতে শুনানি করে বা সরেজমিনে যাচাই করে তালিকা থেকে নাম বাদ দিতেন। কিন্তু বহু সময়ে দেখা যায়, মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার জন্যে উপযুক্ত নথি দিয়ে আবেদনই জমা পড়ে না। ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারের নাম থেকে গিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়।

    কমিশনের বক্তব্য, নতুন আইনে কোনও ব্যক্তি মারা গেলে শেষকৃত্য সম্পন্নের সময়েই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দিতে হয়। যার ভিত্তিতে ওই ব্যক্তি মৃত হিসেবে সরকারি রেজিস্টারে নথিভুক্ত হয়। এর ভিত্তিতেই সারা দেশে জন্মের মতো মৃত্যর হারও নির্ধারণ করা হয়। কমিশন তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে ইলেকট্রনিক্যালি ওই রেজিস্টারের ভিত্তিতে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করেছে। যা নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরিতে সাহায্য করবে।

    একই সঙ্গে কমিশন এ বার ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত বিএলও–দের ছবি–সহ পরিচয়পত্র দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলার নির্বাচন আধিকারিক বা ইআরও–রা এঁদের নিযুক্ত করেন। শিক্ষক, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী, পুরসভা বা পঞ্চায়েত কর্মীদেরই এই পদে নিয়োগ করা হয়। উপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকার কারণে বহু সময়ে তাঁদের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজে সমস্যা হয়। এ জন্যেই পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

  • Link to this news (এই সময়)