অয়ন ঘোষাল: পূর্ব এবং পশ্চিম রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত। এটি ঝাড়খন্ড ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে গেছে। উত্তর বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। এর প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।
দক্ষিণবঙ্গ, শনিবার
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে কালবৈশাখীর সম্ভবনা বেশি। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো বাতাসের গতি ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
রবিবার
দক্ষিণবঙ্গের সাত থেকে আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া।
সোম এবং মঙ্গলবার
কলকাতা-সহ সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো বাতাস। আগামী ৭ দিনে তাপমাত্রার কোনও বড়সড় পরিবর্তন নেই।
উত্তরবঙ্গ
আজ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। বেশ কিছু জেলায় শনি ও রবিবার দমকা ঝড়ো বাতাস প্রতি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার হতে পারে। শনিবার ও রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। সোম, মঙ্গলবার দুদিনেও দার্জিলিং থেকে মালদা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা। তবে ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা কমতে পারে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপমাত্রা বড়সড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
কলকাতা
দিন ও রাতের তাপমাত্রা ভরা মে মাসে এখনও স্বাভাবিকের নিচে। আগামী অন্ততঃ ৫ দিন পারদের উল্লেখ্যযোগ্য কোনও উত্থান পতনের ইঙ্গিত নেই। বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতায়।
পরিসংখ্যান
কাল রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য নিচে। ২৫.৮ ডিগ্রি। কাল দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৪ ডিগ্রি নিচে ছিল। ৩২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৫২ থেকে ৯৪ শতাংশ।