অর্ণব দাস, বারাকপুর: শুক্রবার প্রকাশ হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। ভালো নম্বর পেয়ে পাস করে কিশোর। শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে আমগাছের তলায় উদ্ধার তার দেহ। পরিবারের দাবি, শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা রয়েছে। খুন না কি, আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা। ঘনিয়েছে রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহের পাতুলিয়া। চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম সাগর চৌধুরী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করছিল। ফল দেখার পর খুশিও ছিল সাগর। তার বাবা-মাও খুশি ছিলেন। সারাদিন আনন্দে কাটিয়েছে সে। বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেছিল। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরও ঘুমিয়ে পড়েছিল। তবে রাতে একটা ফোন আসার পর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবার। তারপর আজ, রবিবার বাড়ির সামনে গোঙানির শব্দ শুনে ছুটে আসেন বাবা-মা। দেখেন আম গাছের তলায় আধমরা হয়ে পড়ে রয়েছে সাগর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত হয়। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন সাগরের কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত শরীরের হাড় টুকরো টুকরো করে ভাঙা। খুন নাকি আত্মহত্যা কিছুই বুঝতে পারছেন সাগরের বাবা-মা।
সাগরের বাবা শম্ভু চৌধুরী বলেন, “পরীক্ষার ভালো ফল করেছিল। সারাদিন খুশিতেই ছিল। আজ সকালে দেখি আমগাছ তলে পড়ে রয়েছে ও। কী করে হল কিছুই বুঝতে পারছি না। ডাক্তার বলছে ওর দেহের হাড় ভাঙা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।” পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিশোর বইস্য। তিনি বলেন, ” সকালে পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ছেলেটি ভালো পড়াশোনায় ছিল। কী করে এই ঘটনাঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের পাশে আছি।” পড়ুয়ার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, অথবা পিছনে প্রেম ঘটিত কোনও কারণ আছে নাকি আত্মহত্যা সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ রহড়া থানার পুলিশ।
এদিকে, পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হতে না পেরে আত্মঘাতী আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের চিকলিগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্রী। রাতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ, রবিবার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনায় শোকের ছায়া স্কুল ও পরিবারে।