সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। বিজেপির অনেক নেতা প্রকাশ্যে দিলীপকে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। যদিও সে সব তির্যক মন্তব্যের পাল্টা জবাব বেশ কড়া ভাবেই দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ। তবে দিঘার মন্দিরে যাওয়া নিয়ে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা তাঁর মুখে। দিলীপ মনে করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে সৌজন্য দেখিয়েছেন। কিন্তু অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে সেই সৌজন্য দেখাতে পারেননি।
শনিবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের সময় ওখানে গিয়ে সৌজন্য দেখাননি। তার জেরেই তিনি দিঘায় মন্দির তৈরি করলেন। সেই তো শেষ পর্যন্ত করতেই হলো। কেন সেই দিন উনি গিয়ে সৌজন্য দেখাননি? দিলীপ ঘোষ সৌজন্য দেখিয়েছে।’
দিঘায় যাওয়া নিয়ে দলের একাংশ তাঁকে নিয়ে তির্যক মন্তব্য করছেন। বাদ যাননি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি নেতা অশোক দিন্দাও। শনিবার তাঁকে পাল্টা জবাব দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘আগেও এরকম অনেকে বলেছেন। পরে পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। হঠাৎ করে বিজেপিতে যাঁরা আসেন, তাঁরা অনেক কিছু বলেন। তাঁদের কথার উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। আমি কারও সমর্থন চাই না। আমি নিজের নীতি মেনে কাজ করি।’ বিজেপির কর্মসূচিতে থাকা নিয়ে বিজেপি নেতার পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমি গত ৩ বছর ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতে থাকি? আমি নিজের কর্মসূচি নিজেই তৈরি করি।’
কলকাতায় একের পর এক মার্কেট, বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকদিনে। পুরসভা ও দমকলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। দিলীপ বলেন, ‘পুরোনো বাজারগুলো গিয়ে দেখে আসুন। কোনও অনুমতি নেই। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। হাজার হাজার তার ঝুলছে।’
বড়বাজারের কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফের কটাক্ষ করেন দিলীপ। বিজেপি নেতা বলেন, ‘সব জায়গায় গিয়ে একটা করে কথা বলে দিয়ে আসেন। কিছুই করেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কি শুধু ভিজিট করাই কাজ? তাঁর বিভাগীয় অফিসাররা সব কোথায়? উনি যে দিন মুখ্যমন্ত্রী হলেন তার ১ মাসের মধ্যে সব হাসপাতাল ভিজ়িট করে ফেললেন। কী লাভ হল? দালালরাজ আটকানো গিয়েছে? আর জি কর ঘটনা আটকানো গিয়েছে? উনি পলিটিক্যাল গিমিক করেন। আপনারাও সেগুলো দেখাতে থাকেন। ১৫ বছর তো হয়ে গেল। কী পরিবর্তন হয়েছে? উনি পরিবর্তন চান না। উনি রাজনীতি করতে চান।’