সোমনাথ মাইতি, কাঁথি
বাবা আইনজীবী। মা স্কুলের শিক্ষিকা। দিনের বড় একটা সময়ে বাড়িতে একাই থাকতে হয় সুপ্রতীক জানাকে। সেই সময়টা কাটত বাড়িতে বসে কম্পিউটার ঘেঁটে আর বই পড়ত। এ ভাবেই পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার হয়ে ওঠে তার প্রিয় বিষয়। ৬৯২ নম্বর নিয়ে এ বছর মাধ্যমিকের ফলে সুপ্রতীক মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান পেয়েছে। উচ্ছ্বসিত সুপ্রতীক জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কম্পিউটারই হবে তার বিষয়। তাই ২০২৭সালের আগে হাতে কোনও সময় নেই তার কাছে। এখন শুধু নিজের সেই স্বপ্ন পূরণের জন্যে লড়াই লড়তে হবে। এ দিন ফল বেরোনোর পরে এ ভাবেই নিজের মনের কথা জানিয়েছে সুপ্রতীক।
কাঁথির মডেল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সুপ্রতীকের বাড়ি কাঁথি পুরসভার আঠিলাগড়িতে। বাবা সুব্রত মান্না কাঁথি আদালতের আইনজীবী। মা কাজল বেরা মান্না স্থানীয় একটি হাইস্কুলে ইংরেজির শিক্ষিকা। এ বারের মাধ্যমিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম ও রাজ্যে যুগ্ম চতুর্থ সুপ্রতীক জানাল, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। সুপ্রতীক জানিয়েছে, দিনে ৬-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। সেল্ফ স্টাডির পাশাপাশি বাড়ির কম্পিউটার আর্কিটেকচারের উপর আর্টিকেল পড়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করত। তবে নিজে পড়ার পাশাপাশি স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে তৈরি গ্রুপে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করত নিয়মিত।
আর এই পড়াশোনার চাপের কারণে বাইরে বেড়াতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে হিমাচলপ্রদেশে বেড়াতে গিয়েছিল। তার বক্তব্য, পড়াশোনার চাপে ২০২৬ সালের মধ্যে বেড়াতে যাওয়ার কথা তার মাথায় নেই। যা হবে সব ২০২৭সালে।
মাধ্যমিকে ইংরেজি, ভৌতবিজ্ঞান, অঙ্ক ও ভূগোলে একশোয় ১০০ পেয়েছে সুপ্রতীক। তার মা বলেন, 'আমি চেষ্টা করেছি ও যাতে ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে পারে। প্রতি বিষয়ে একজন করে গৃহশিক্ষক ছিল। ও পড়াশোনা আর কম্পিউটার নিয়ে বিজ্ঞানের, বিশেষ করে কম্পিটারের সায়েন্সের উপর নানা ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে সময় কাটাত। আমরা কখনও ওর উপর কিছু চাপিয়ে কিছু করানোর চেষ্টা করিনি। তাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার নয়, ওর পছন্দের বিষয়ে নিয়ে ও পড়াশোনা করুক, সেটাই আমরা চাই।'