• প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় সফল ওরা
    এই সময় | ০৩ মে ২০২৫
  • এই সময়,তমলুক: কারওর দৃষ্টিশক্তি নেই। কেউ শুনতে পায় না, কেউ আবার অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। আর পাঁচ জনের থেকে অনেকটাই আলাদা সোমা শ্রাবন্তী শ্যামসুন্দর, সুমি, তৃষাগ্নিরা। জীবনের শুরু থেকেই এই প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে চলেছে ওরা।

    আর ওদের দৌলতেই আজ সাফল্যের এক নতুন দিশা দেখল নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি বিশেষ বিদ্যালয়। দয়াল প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার একসঙ্গে আট পড়ুয়া সাফল্য পেয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়। কুলবেড়্যা ভীমদেব আদর্শ বিদ্যালয়ের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন সকলে। প্রত্যেকেই সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।

    সোমা কর্মকার, শ্রাবন্তী ঘড়া, রাখি ঘোষ, উত্তম সামন্ত, নিশা দোলাইরা কেউ শুনতে পায় না। শ্যামসুন্দর ঘোড়াই দৃষ্টিহীন। অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী সুমি সামন্ত এবং অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত তৃষাগ্নিক সেন। সকলেই বিষেষভাবে সক্ষম। কিন্তু কোনও প্রতিবন্ধকতাই তাঁদের থামিয়ে রাখতে পারে নি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, ওদের এই সাফল্য গোটা সমাজের কাছে এক অনুপ্রেরণা। আমরা গর্বিত।’

    তিনি জানিয়েছেন, এইসব বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা জীবনে আরও এগিয়ে যেতে তিনি সর্বাত্মক সহায়তা করবেন। উচ্চমাধ্যমিক থেকে গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও এই সংস্থার দুই–তিনজন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে একসঙ্গে আট জনের সাফল্য আগে কখনও হয়নি। তাই এই সাফল্য সকলের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষিকারা।

  • Link to this news (এই সময়)