তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের। শনিবার সকালে শ্রীমতি নদীর ধারে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের নাম সুব্রত দেবনাথ ওরফে বাপন (৩০)। তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক এবং জীবনবিমার এজেন্ট ছিলেন। এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকজন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবক। তখন কেউ তাঁকে ফোন করেন। সেই ফোন পেয়েই তিনি বেরিয়ে যান। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও না ফেরায় বাড়ির লোকজন সুব্রতকে ফোন করেন। কিন্তু মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাতে বেরিয়ে বাড়ির লোকজন আশপাশে তাঁর খোঁজও করেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। শনিবার বাড়ির অদূরে শ্রীমতি নদীর ধারে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ইটাহার থানার পুলিশ পৌছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভারী বস্তু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছি। দেহের একাধিক জায়গা থেঁতলে গিয়েছে। থানায় পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই যুবককে কে ফোন করেছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
মৃতের ভাইপো অরিজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল কাকা। তারপর শনিবার থেঁতলে যাওয়া দেহ মেলে। কাকাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’ জয়হাট পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’