শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সাতসকালে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। এদিন সকালে শ্রীমতি নদীর ধারে ওই রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত যুবকের নাম সুব্রত দেবনাথ (৩০)। তিনি পেশায় গৃহশিক্ষক এবং জীবনবিমার এজেন্ট ছিলেন। গতকাল রাতে কেউ তাঁকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোন পেয়েই তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে খবর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সুব্রত দেবনাথের বাড়ি ইটাহারের জয়হাট পঞ্চায়েতের সোনাডাঙ্গি এলাকায়। তিনি শাসক দলের কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। পেশাগত ক্ষেত্রে তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন। এছাড়াও জীবন বিমা কোম্পানির এজেন্ট ছিলেন। গতকাল রাতে বাড়িতেই ছিলেন ওই যুবক। তখন কেউ ফোন করেন। সেই ফোন আসার পরই তিনি বেরিয়ে যান। অনেকক্ষণ হয়ে গেলেও না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু মোবাইল ফোনেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাতে বেরিয়ে বাড়ির লোকজন আশপাশে তাঁর খোঁজও করেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বাড়ির অদূরে শ্রীমতি নদীর ধারে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ইটাহার থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভারী বস্তু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছি। দেহের একাধিক জায়গা থেঁতলে গিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সুব্রতকে ‘খুন’ করা হয়েছে। থানায় পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের ভাইপো অরিজিৎ দেবনাথ বলেন, ” শুক্রবার রাতে ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।তারপর শনিবার থেঁতলে যাওয়া দেহ মেলে। কাকাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।” জয়হাট পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকউদ্দিন বলেন,” দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।”