অর্ণব দাস, বারাকপুর: প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের পর সিআইডি স্ক্যানারে তাঁর জামাইও। আগামী ৫ মে তাঁকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। যদিও অর্জুন সিং এই তলবের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত দেখছেন।
জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের জামাইকে তলব করেছে সিআইডি। আগামী ৫ মে, ভবানীভবনে তাঁকে তলব করা হয়েছে। সিআইডি তলবে অর্জুন সিংয়ের জামাই সাড়া দিয়ে হাজিরা দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “আমার পরিবারের লোককে ফাঁসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে চমকাতে চাইছেন। আমিও পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই এইভাবে আমাকে চমকানো যাবে না। আমার পরিবারের লোকও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।”
উল্লেখ্য়, গত ২৬ মার্চ রাতে, জগদ্দলের মেঘনা মোড় এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই খবর পেয়ে অর্জুন সিং কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা মোড়ের কাছে পৌঁছেছিলেন। সেখানে গিয়ে অর্জুনের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালায়। পালটা ধাওয়া করেন তাঁরাও। তাতেই চম্পট দিতে গিয়ে জখম হন এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় ওই এলাকা। আহত যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অর্জুন সিংকে তলব করে বারাকপুর পুলিশ। তবে তিনি হাজিরা দেননি।
ভাটপাড়ার মজদুর ভবনে গিয়ে অর্জুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের পরই ব্যক্তিগত কাজে অর্জুন সিং ভিনরাজ্যে চলে যান। ওই ঘটনায় বারাকপুর আদালতে মামলা ওঠে। বিচারক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অর্জুন সিং। সেখান থেকে রক্ষাকবচ পান তিনি। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার তাঁকে তলব করে পুলিশ। যদিও সেই তলবে সাড়া দেননি অর্জুন।