শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বাঁশবোঝাই ট্রাক দেখে বাইরে থেকে সন্দেহ হওয়ার কোনও অবকাশ নেই। কিন্তু সেই বাঁশের আড়ালেই পাচার হচ্ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট। তল্লাশিতে উদ্ধার হল ওই বিপুল পরিমাণ সিগারেট। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বালাপাড়া এলাকায়। ঘটনায় গাড়ির চালক মহম্মদ আসিফ ও খালাসি সাকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল। সেই মতো জলপাইগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা তিস্তা সেতু সংলগ্ন জাতীয় সড়কের বালাপাড়া এলাকায় নাকাতল্লাশি শুরু করে। একটি বাঁশবোঝাই গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। গাড়িটিকে থামিয়ে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। চালক ও খালাসির কথায় সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। আরও চেপে ধরতেই সিগারেট পাচারের কথা বেরিয়ে যায়।
এরপরই পুলিশ ওই গাড়ি তল্লাশি চালাতে শুরু করে। চালকের আসনের পিছনে একটি গোপন চেম্বার করা হয়েছিল। সেই চেম্বারের পিছনেই থরে থরে সাজানো ছিল বাক্স। সেসব বাক্স খুলতেই উদ্ধার হল ওই বিদেশি সিগারেট। এরপরই চালক ও খালাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ওই বিদেশি সিগারেটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই বিপুল পরিমাণ সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ওই সিগারেট মায়ানমার থেকে ভারতে ঢুকেছিল। অসম হয়ে জলপাইগুড়ি পেরিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে উত্তরাখণ্ড পাচার হওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই চক্রে আর কারা আছে? রাজ্যে এই চক্র কতটা সক্রিয়? সেসব তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এর আগেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট জলপাইগুড়িতে ধরা পড়েছে। কোটি টাকার বেশি মূল্যের এখনও অবধি বিদেশি সিগারেট বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে খবর।