কলকাতা বিমানবন্দরে আরও বাড়বে পরিষেবার গতি! খুলে গেল কোন পথ?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ মে ২০২৫
যাঁরা দমদম বা কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে নিত্য যাতায়াত করেন, তাঁদের জন্য স্বস্তির খবর। শুক্রবার থেকেই খুলে গেল - বিমানবন্দরের ট্যাক্সিওয়ে সি। এরই সঙ্গে পুনরায় সচল হল ট্যাক্সিওয়ে এ। যার অর্ধেকেরও বেশি অংশ গত প্রায় একবছর ধরে অচল হয়ে ছিল। কারণ, সেখানে সংস্কারের কাজ চলছিল। সেই কাজ শেষ হওয়াতেই ট্যাক্সিওয়ে সি চালু করার পাশাপাশি একইসঙ্গে ট্যাক্সিওয়ে এ -কেও ফের সম্পূর্ণ ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ট্যাক্সি ট্র্যাক বা ট্যাক্সিওয়ে এ হল কলকাতা বিমানবন্দরের সবথেকে দীর্ঘ ট্যাক্সিওয়ে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এর ফলে একদিকে যেমন - কলকাতা বিমানবন্দরে গ্রাউন্ডে বিমানগুলির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের গতি বাড়বে, তেমনই প্রত্যেকটি বিমানের রানওয়ে আটকে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ও কমবে। কারণ, এবার থেকে সেগুলি রানওয়ে থেকে বের হওয়ার জন্য ট্যাক্সিওয়ে সি ব্যবহার করতে পারবে এবং ট্য়াক্সিওয়ে এ-র সাহায্যে দ্রুত এগোতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনালের সবথেকে কাছে থাকা ট্যাক্সি ট্র্যাক হল - ট্যাক্সিওয়ে এ। এর মোট দৈর্ঘ্য ২,৯৪০ মিটার। যার মধ্য়ে প্রায় ১,৬৪৪ মিটার অংশ এত দিন ধরে বন্ধ ছিল। সেখানে সংস্কারের কাজ চলছিল।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরের সবথেকে পুরোনো অংশগুলির অন্যতম হল এই ট্যাক্সিওয়েগুলি। এগুলির ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলত, বিমানের ওঠানামা পরিচালনা করা আরও সহজ, দ্রুত ও উন্নত হবে।
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, এই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ডে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ আরও নিপুণ হবে। এর ফলে দিনের ব্যস্ত সময়গুলিতে কাজ করা সুবিধাজনক হবে এবং তাতে যাত্রীরাও উপকৃত হবেন।
ওই আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আগে কলকাতা বিমানবন্দরের ব্য়স্ততা তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু, এখন সারাদিন ধরে বিমান চলাচল করে। প্রায় ছয় থেকে সাতঘণ্টা ধরে এই ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে। যদি পরস্পরের সমান্তরালে অবস্থিত ট্যাক্সিওয়ে এ এবং ট্যাক্সিওয়ে এফ একইসঙ্গে সচল থাকে, তাহলে কাজে বিরাট সুবিধা হবে।'
একজন বিমানচালকও এই বিষয়টি নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদি পাইলটরা ট্যাক্সিওয়ে এ -র পুরোটা ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে যখন আবহাওয়া বদলে যাবে, সেই সময় তাঁরা সহজেই উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে দিক পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিমানবন্দরের আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিমানবন্দর-নিউ ব্যারাকপুরের মধ্যে মেট্রোর কাজ চলছে। এই অবস্থায় ট্যাক্সিওয়ে এ পুরোপুরি খুলে যাওয়ায় কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধা হবে।
তাঁর কথায়, 'যেহেতু মেট্রো রেলের কাজ চলছে, তাই বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরটি অস্থায়ীভাবে বিমানবন্দর চত্বরের ভিতরের দিকে কিছুটা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে যেসমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থায় বড় আকারের বিমান ব্যবহার করা হয়, তারা ট্যাক্সিওয়ে এন এবং ট্যাক্সিওয়ে পি ব্যবহার করতে পারছে না। অথচ, এই দু'টি ট্য়াক্সিওয়ে ব্যবহার করেই সেগুলি এত দিন প্রাইমারি রানওয়ের একেবারে উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারত। এই বড় বিমানগুলি এবার ট্যাক্সিওয়ে এ ব্যবহার করতে পারবে।'