বাড়িতে ঢুকেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় নদিয়ার এক ছাত্রী। জানা গিয়েছে, অনেকক্ষণ দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। শত ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। শেষ পর্যন্ত দরজা ভাঙতে বাধ্য হয় পরিবার। দরজা ভেঙে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় ঘর থেকে তিস্তা সরকারের দেহ উদ্ধার করে তার পরিবার। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া পরেশনাথপুর এলাকার। শুক্রবার মাধ্যমিকের রেজ়াল্ট বেরোনোর পর তিস্তা আত্মঘাতী হয় বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
পরিবারের দাবি, চলতি বছর তিস্তা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিকে সে অকৃতকার্য হয়। এ দিন সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় তিস্তা। জানা গিয়েছে, এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তিস্তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিস্তা সরকারের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘পড়াশোনায় সে রকম ভালো ছিল না তিস্তা। তবে তাকে কখনও পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া হতো না। মাধ্যমিকে খারাপ ফলের জন্য কিংবা অন্য কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।’ তিস্তার আত্মঘাতীর ঘটনায় শোকের ছায়া তার পরিবারে। তবে ঠিক কী কারণে সে আত্মঘাতী হলো তা জানেন না তার পরিবারের সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ বিষয়ে শান্তিপুর থানার সিআই কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। তার পরেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে ফেল করার জন্য না কি অন্য কোনও কারণে আত্মহত্যা করেছে, সেই বিষয় নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’