বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একের পর এক সমবায়ে তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী হচ্ছে বাম-বিজেপি। এবার বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে থাবা বসাল তৃণমূল।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা ব্লকের বরদা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালক মণ্ডলীর নির্বাচন ছিল। যার মোট আসন সংখ্যা ১২টি। সেখানে সবকটি আসন দখল করেছে তৃণমূল। এই সমবায় যে পাঁচটি বুথ এলাকায় অবস্থিত সেই পাঁচটি বুথ বর্তমানে বিজেপির দখলে। এ ছাড়াও এই সমবায় যে গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত অর্থাৎ চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির হাতে। ফলে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে তৃণমূলের বড়সড় সাফল্য বলা চলে। এই সমবায় সমিতির মেয়াদ শেষ হয় মাসখানেক আগে। আগেও সমবায় ছিল তৃণমূলের হাতে। এরপর নির্বাচন ঘোষণা হতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবকটি আসনে প্রার্থী দেয় বিজেপি। সিপিএমের তরফ থেকে তিনটি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল বিশেষ চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষমেষ এদিন বিকেলে ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় সবকটি আসনেই তৃণমূলের কাছে গো-হারা হেরেছে বিজেপি এবং সিপিএম। এরপরেই সবুজ আবির এবং মিষ্টি মুখে মেতে উঠেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা।
এই সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৪৮২। যার মধ্যে শনিবার ভোট পড়েছে ৪১২টি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে তৃণমূলের এরূপ জয়কে বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছে শাসক শিবির।
সুতাহাটা ব্লক তৃণমূল- কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ বটব্যাল জানান, ‘মানুষ বিজেপির কাজকর্মে সন্তুষ্ট নয়। তাই সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলকে মানুষ ঢেলে ভোট দিয়েছেন। আগেও এই সমবায় তৃণমূলের ছিল। তৃণমূল দল যেভাবে সমবায় কাজ করেছে তাতে মানুষ আবার তাদের ওপরেই আস্থা রেখেছে।’
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ ভূইয়া জানান,‘সমবায় নিয়ে আমরা চিন্তিত নয়, ওখানে শাসকদল তাদের পছন্দের মানুষদের সদস্য করেন। আমরা বিধানসভা নিয়ে ভাবছি। তার কাজ করে চলেছি।’