বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের জীবনী পড়ে অনুপ্রেরণা খোঁজে যুগ্ম প্রথম ফাহমিদা
বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী ফাহমিদা ইয়াসমিন হাই মাদ্রাসা ফাইনাল পরীক্ষায় ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৭৮০ নম্বর নিয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় যুগ্ম প্রথম। নিয়মিত ও নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এই সাফল্য বলে প্রতিক্রিয়া ফাহামিদার। মনীষীদের জীবনী পড়ার প্রতি তার ভীষণ আগ্রহ। পাঠ্য বইয়ের বাইরে বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথের জীবনী পড়ে সে অনুপ্রেরণা খোঁজে। সে বাংলায় ৯২, ইংরেজিতে ৯৪, গণিত ও ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাস, ভূগোল ও ইসলাম পরিচয়ে ৯৯ এবং ঐচ্ছিক আরবিতে ৬৯ পেয়েছে।
রতুয়া-১ ব্লকের সামসি বাইপাসে বাড়ি। বাবা মহম্মদ জালালউদ্দিন বস্ত্র ব্যবসায়ী, মা নিলুফা খাতুন গৃহবধূ। তিন ভাইয়ের একমাত্র ছোট বোন ফাহামিদা। তার লক্ষ্য বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে চিকিৎসক হওয়া। ফাহামিদার কথায়, বাবা-মায়ের স্বপ্ন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করি। সেই লক্ষ্যে আমি অবিচল। অবসর সময়ে গল্পের বই পড়ি। ক্রিকেট দেখতে খুব ভালোবাসি। আমার প্রিয় ক্রিকেটার শুভমান গিল।
রাজ্যে যুগ্ম প্রথম ওই ব্লকেরই বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার শাহিদা পারভিন (৭৮০)। তারও লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। সাহিদা বাংলা, গণিত ও ইসলাম পরিচয়ে ৯৯, ইংরেজিতে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞান ও ভূগোলে ৯৬, ইতিহাসে ৯৫, ঐচ্ছিক আরবিতে ৯০ নম্বর পেয়েছে। দারিদ্রকে জয় করেই সাহিদার এই সাফল্য। রতুয়ার-১ ব্লকের ছোট বটতলা গ্রামের বাসিন্দা শাহিদার বাবা সামসুজ্জোহা টোটো চালক। তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে। টোটো চালিয়ে সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে চলেছেন সামসুজ্জোহা। শাহিদার কথায়, কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য পেয়েছি। চিকিৎসক হয়ে বাবার মুখে হাসি ফোটাতে চাই। তবে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা বড় বাধা আমাদের কাছে।