সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জাতীয় সড়ক বা ফোর লেন রাস্তার কারণে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীরা জমি দিলে সেই জমিতে বাজার হাট করার পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্যই। হাটের পরিকাঠামো তৈরিতে ব্যবসায়ীদের কোনও টাকা দিতে হবে না। শনিবার আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ঘরঘরিয়া হাট বাজারের স্থানান্তরে জমি হস্তান্তরের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানেই একথা বলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এদিন তিনি ব্যবসায়ীদের দেওয়া জমি আলিপুরদুয়ার জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির হাতে তুলে দেন।
আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ৪১ কিমি ৩১-ডি জাতীয় সড়ক ফোর লেন করার কাজ চলছে। ফোর লেনের কারণে ঘরঘরিয়া হাটের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ হতে হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে হাটটি স্থানান্তরের জন্য তিন বিঘা জমি কিনেছে। ফোর লেনের পাশে সেই জমিই এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এবার সেই জমিতে হাটের শেড, স্টল ঘর, পানীয় জল, নিকাশিনালা সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্য।
এদিন সেই জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, রাজ্যকে জমি কিনে দিয়ে ঘরঘরিয়া হাটের ব্যবসায়ীরা রাজ্যে মডেল তৈরি করলেন। ব্যবসায়ীদের দেওয়া সেই জমিতে এবার শেড ঘর সহ যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে দেবে রাজ্য। ভবিষ্যতেও কোথাও জাতীয় বা রাজ্য সড়কের কারণে উচ্ছেদ হয়ে কোনও হাটের ব্যবসায়ীরা এভাবে জমি কিনে দিলে রাজ্য সেখানেও একই ভাবে সেই হাটের পরিকাঠামো গড়ে দেবে।
এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক, প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি বলেন, ফোর লেনের জন্য ঘরঘরিয়া হাটের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলা পরিষদের হয়ে আমিই ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছিলাম যে তাঁরা যদি জমি কিনে দেয় তাহলে রাজ্যই হাটের পরিকাঠামো গড়ে দেবে। সেই জমি হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে আসার জন্য মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে ধন্যবাদ জানাই। ঘরঘরিয়া হাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুশান্ত সাহা বলেন, প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে নতুন হাটের পরিকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে সোমবার থেকে মাটি ফেলা হবে। হাটের নতুন জায়গায় আপাতত ২০০ জন ব্যবসায়ীর জায়গা হবে।