সংবাদদাতা, দিনহাটা: শনিবার দিনহাটা কলেজে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন জখম হয়েছেন। ইকবাল হোসেন নামের তৃতীয় সেমেস্টারের বাংলা বিভাগের ওই ছাত্র দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে দিনহাটা থানার পুলিস। কলেজে স্কলারশিপের কাজে আসা ছাত্রছাত্রীদের র্যাগিং করা হয়েছে বলে জখম ছাত্রের অভিযোগ। পাল্টা বিরোধী পক্ষের দাবি, এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করা হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করেছে অন্যরা।
সূত্রের খবর, ইকবাল হোসেন ও তার বন্ধু বান্ধবীরা স্কলারশিপের কাজে এদিন দিনহাটা কলেজ আসেন। তাঁরা একটি ঘরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় ফোনে কথা বলছিলেন ইকবাল। তখন তাঁকে ও তাঁর বন্ধু বান্ধবীদের র্যাগিং করা শুরু করে অন্য ছাত্ররা। ইকবাল তার প্রতিবাদ করলে তারা তাঁকে মারধর করে। হাতে থাকা বালা দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করায় মাথা ফেটে যায়। তিনি অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানান। দিনহাটা থানায় খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিস। জখম ইকবালকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিস।
যদিও অভিযুক্তদের দাবি, এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করছিল ইকবাল ও তার বন্ধুরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করা হয়েছে। জখম ছাত্র ইকবাল বলেন, স্কলারশিপের কাজে বন্ধুদের নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। আমি ফোনে কথা বলার সময় অভিযুক্তরা অন্যদের র্যাগিং করে। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমার মাথায় বালা দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথা ফেটে গিয়েছে। দিনহাটার ছাত্রনেতা আমির আলম বলেন, সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মারপিট হয়েছে। একটি মেয়েকে ইভটিজিং করছিল ইকবাল। সেই সময় অন্যরা প্রতিবাদ করে। দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্র বলেন, ঘটনাটি ঘতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিনহাটা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দিনহাটা থানার খবর দেওয়া হয়। জখম ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।