• মোদি ও দিদি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ব্যর্থ, কটাক্ষ অধীরের
    বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: প্রধানমন্ত্রী রামমন্দির ও মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দিরের ভগবানের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করছেন। অথচ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারছেন না। কংগ্রেসের সভা থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ জেলার সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব অক্ষুন্ন রাখতে ও যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে এক জনসভার আয়োজন করে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস। শনিবার বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে ওই সভায় হাজির ছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। এছাড়া জেলা কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতৃত্ব হাজির ছিলেন ওই সভায়। এদিনের ওই সভায় হাজির ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। এদিন অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখার শুরুতেই কাশ্মীরে নিহত ২৬জন পর্যটকের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করার আবেদন জানান। তাঁর আবেদন মেনে সভায় হাজির কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা উঠে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন সকলে। রবিবার মুর্শিদাবাদে প্রায় সাড়ে আট হাজার পরীক্ষার্থী ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট(ইউজি) বা নিট পরীক্ষায় বসবে। তার আগে মাইক বাজিয়ে এই সভা করা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ওয়াকফ আইনের প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকবে। কিন্তু সেই আন্দোলন যেন হয় শান্তিপূর্ণ। এই মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িক বিভাজন কংগ্রেস বরদাস্ত করবে না। প্রধানমন্ত্রী রামমন্দির ও মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দিরের ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করছেন। অথচ সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারছেন না। এদিন মালদার সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মালদা ও মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। 

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার(ডেভিড) বলেন, পরীক্ষার একদিন আগে এরকম সভা করার অনুমতি কারা দিল তা আমার জানা নেই। যারা মানুষের কথা ভাবে না তারা আবার কীসের নেতা? কংগ্রেসের এই সভাকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজকর্ম ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে। সভার দুই-তিন দিন আগে থেকে বিভিন্ন এলাকায় টোটোতে করে মাইক বেঁধে প্রচার করা হচ্ছিল, তাতেও পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হয়েছে। ওরা পড়ুয়াদের কথা ভাবল না, শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবল। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)