অরাজকতা বরদাস্ত নয়, কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ মন্ত্রীর
বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: একশো বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক গড়তে স্থানীয়দের একাংশের বাধা। যার ফলে থমকে যাচ্ছে কাজ। হাসপাতাল চত্বরের দখল নিয়ে অবৈধ স্ট্যান্ড বানিয়ে নিয়েছে অটো-টোটোচালকদের একাংশ। হাসপাতালের প্রাচীর ভেঙে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করা হয়েছে। মর্গে এসি থেকে হাসপাতালে থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে। এই অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর অবস্থান নিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী মলয় ঘটক থেকে জেলাশাসক পোন্নমবলম এস। শনিবার হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি বৈঠক হয়। সেখানেই অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। অটো, টোটো চালকদের দখলদারি আটকাতে পুলিস কমিশনারকে নিয়ে আগামী সপ্তাহেই বৈঠক করবেন জেলাশাসক ও মন্ত্রী। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট গড়ার বাধাও পুলিস প্রশাসনকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসানসোলের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করতে একশো শয্যর ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। চিহ্নিত জায়গা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ যাতায়াত করতেন। তাঁরা বিকল্প রাস্তার দাবি জানান। মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকল্প রাস্তার জন্য জমি দেয়। পিডব্লুডি রাস্তা তৈরি করে দেয়। অভিযোগ, বাসিন্দাদের একাংশ ফের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট গড়তে বাধা দিতে শুরু করেন। আরও একটি রাস্তার দাবি জানানো হয়। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে জানানো হয়, এই দাবি অনৈতিক। তাই কোনও চাপের কাছে প্রশাসন আর নতি স্বীকার করবে না। কঠোর প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সিএমওএইচ শেখ মহম্মদ ইউনুস। হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস সহ চিকিৎসকরা অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড তৈরি নিয়ে সরব হন। তারপরই এই অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস কমিশনারকে নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়।
কয়েকদিন আগে হাসপাতালের মর্গের একাধিক এসির আউটডোর ইউনিট চুরি হয়। এদিন বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠতেই হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মন্ত্রী মলয়বাবু। কীভাবে হাসপাতালের মূল প্রবেশপথের প্রাচীর ভেঙে এক ব্যবসায়ী ভিতরে স্থায়ী দোকান করে নিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গ ওঠে। প্রয়োজনে তাঁদের নামে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মহকুমা শাসক ও আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াশিমুল হক হাসপাতালের মা ক্যান্টিনের পরিষেবা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, আসানসোল পুরসভা প্রতিদিন ৩০০জনকে খাবার খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মা ক্যান্টিনটি খুলেছিল। কিন্তু প্রতিদিনই তার থেকে বেশি মানুষ খাবার খাচ্ছেন। দরিদ্র রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের জন্যই এই ব্যবস্থা। তাঁরাই খাবার খাচ্ছেন।