বিজেপির স্মরণ মঞ্চে ডাক পেলেন না শহিদ পরিতোষ ঘোষের পরিবার
বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, তেহট্ট: অবহেলিত যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদ তেহট্টের পরিতোষ ঘোষের পরিবার। এলাকার চার শহিদ জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের ‘শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি’ মঞ্চে ডেকে বিরোধী দল বিজেপি তাঁদের সংবর্ধনা ও প্রত্যেক পরিবারের সদস্যর হাতে দুই লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেও অবহেলিত থেকে গেল এলাকার মাওবাদীদের হাতে শহিদ পরিতোষ ঘোষের পরিবার। দিন কয়েক আগে কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত শহিদ ঝন্টু আলি শেখের দেহ তেহট্টের পাথরঘাটার বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই বাড়িতে হাজির হয়ে যায় তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ সদস্য, বিধায়ক সহ দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু, সেখানে দেখা যায়নি বিজেপির কোনও নেতৃত্বকে।
এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল। শহিদের বাড়িতে উপস্থিত না থাকার ঘটনার ক্ষতে প্রলেপ দিতে সদ্য শহিদ ঝন্টু আলি শেখের পরিবার সহ চারজন শহিদের পরিবারের সদস্যকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তেহট্ট জিতপুর মোড়ে ‘শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি’ মঞ্চের ডাক দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব।
সেদিনও ঝন্টু আলি শেখের বাড়িতে না গিয়ে ‘শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি’ মঞ্চে এলাকার চারজন শহিদের পরিবারকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দায় সারে রাজ্যের বিরোধী দল। কিন্তু, সেদিনের ওই মঞ্চে ডাক পাননি হাতিশালা গ্রামের বর্তমানের তেহট্টের বাসিন্দা শহিদ পরিতোষ ঘোষের পরিবার। তাঁদের দাবি, আগে যাঁরা শহিদ হয়েছেন সেই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু, আমরা পারিবারিকভাবে বিষয়টি কয়েকজন বিজেপি কর্মকর্তাকে জানানো সত্ত্বেও এলাকার প্রথম শহিদের পরিবার হিসাবে সম্মান না পাওয়ায় খারাপ লাগছে।
শহিদ পরিতোষ ঘোষের ছেলে পৃথ্বীরাজ ঘোষ জানান আমার বাবা বিএসএফের ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লাতেহার জেলায় গাড়িতে যাওয়ার সময় মাওবাদীদের পাতা মাইন বিস্ফোরণে শহিদ হন বাবা। যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের বীরের সম্মান জানাতে আমাদের বাড়ির খুব কাছেই বিজেপির পক্ষ থেকে ‘শহিদ স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি’ মঞ্চে ডেকে সম্মান জানানো হয়। আমরা বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো সত্ত্বেও আমন্ত্রণ না পাওয়ায় পারিবারিকভাবে বিষয়টা খুব খারাপ লাগছে। বিষয়টা অসম্মানেরও।