• দমকল কেন্দ্র না থাকার খেসারত দিচ্ছে বাগদা, আগুনে বিপুল ক্ষতি
    বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: এলাকায় কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায় বারবার ক্ষতির মুখে পড়ছেন বাগদার ব্যবসায়ীরা। দমকল কেন্দ্র রয়েছে বনগাঁয়। সেখান থেকে দমকলের গাড়ি আসার আগেই ছড়িয়ে পড়ছে আগুন, পুড়ে যাচ্ছে পাশাপাশি থাকা একের পর এক দোকান, বাড়ি। এলাকাবাসীদের দাবি, চোখের সামনে অসহায়ের মতো দোকান পুড়তে দেখা ছাড়া তাঁদের আর কিছু করার থাকছে না। বিপুল ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র থাকলে এতটা ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

    বাগদাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, এখানে একটি দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠুক। প্রতি ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলি বাগদায় দমকল কেন্দ্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। ফলে তার খেসারত দিতে হচ্ছে বাগদাবাসীকে। বাগদাবাসীর ভরসা প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ দমকল কেন্দ্র। কিন্তু এত দূর থেকে দমকল পৌঁছনোর আগেই পুড়ে যায় দোকান কিংবা বাড়ি। গত লোকসভা ভোটের আগে বাগদায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি সেজন্য জমিও চিহ্নিত করেন। বাগদার হেলেঞ্চায় প্রায় দু’বিঘা জমিতে দমকল কেন্দ্রটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। জমি পরিদর্শন করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ডিভিশনাল ফায়ার আধিকারিকরা। কিন্তু ওইটুকুই। এরপর কাজ এতটুকু এগয়নি। আজও হয়নি জমি হস্তান্তর।

    বাগদার বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জিত সর্দার বলেন, বাগদায় একটি দমকল কেন্দ্র খুবই প্রয়োজন। আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি। লোকসভা ভোটের আগে জমি পরিদর্শনও করেন দপ্তরের কর্তারা। কিন্তু কাজ আর এগয়নি। জমিও হস্তান্তর হয়নি। গত বিধানসভা উপ নির্বাচনে বাগদায় জয়ী হয় তৃণমূল। আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাগদার বাসিন্দারা। ভেবেছিলেন এবার তাঁদের দাবি পূরণ হবে। কিন্তু আজও এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র না হওয়ায় হতাশ বাসিন্দারা। এবিষয়ে বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, আমি বিধায়ক হওয়ার পর বাগদায় একটা দমকল কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। ঠাকুরনগরে মেলায় দমকল মন্ত্রী এসেছিলেন। তাঁকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। বিধানসভায় আবার বিষয়টি তুলবো।
  • Link to this news (বর্তমান)