• ৪৫ বছর ধরে বসবাস, চন্দননগর থেকে গ্রেপ্তার পাকিস্তানের মহিলা
    বর্তমান | ০৪ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: প্রায় ৪৫ বছর ধরে হুগলির চন্দননগরে বসবাস করছিলেন পাকিস্তানের এক মহিলা। চন্দননগরের এক বেকারির মালিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। মহিলার নাম ফতেমা বিবি। অভিযোগ, ভারতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও নথিপত্র তাঁর কাছে নেই। সম্প্রতি গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে কুঠির মাঠ এলাকার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়াকে গ্রেপ্তার করে চন্দননগর পুলিস।

    গত মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের সেনা আটক করে বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউকে। তিনি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। সেই জেলাতেই পাকিস্তানের এক নাগরিকের বসবাস ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিস। সম্প্রতি কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের হাতে পর্যটক হত্যার পর পাক নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর ফতেমা বিবির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তাঁকে থানায় আনা হয়। তার আগে তাঁর কাছে ভারতে বসবাস করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি চাওয়া হয়েছিল। শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও নথি তিনি দিতে পারেননি। চন্দননগর কমিশনারেট এই স্পর্শকাতর বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তবে এক পদাধিকারী বলেন, ওই মহিলা পাকিস্তানের নাগরিক। ভারত ভূখণ্ডে বিবাহসূত্রে বসবাসের জন্য কিছু নথিপত্রের প্রয়োজন হয়। আমরা তেমন নথি পাইনি। পুলিসের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফরেনার্স অ্যাক্ট এর পাশাপাশি ‘শত্রু’ দেশের নাগরিক হিসেবেও ওই মহিলাকে চিহ্নিত করা হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশের উপর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সালে বাবার সঙ্গে ট্রেনে চন্দননগরে আসেন ফতেমা। তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ১৫ বছর। সে সময় চন্দননগরের বাসিন্দা রাজু মল্লিকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সেই থেকে চন্দননগরেই থাকেন। পরিবারে সন্তান, নাতি রয়েছে। তাঁর পরিবার এদিন মুখ খুলতে চায়নি। তবে জানা গিয়েছে, ফতেমার বাবার হরিপালের নালিকুলে বাড়ি ছিল।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)