• 'দলে এখন ধোনির ভূমিকা পালন করছি', জি ২৪ ঘণ্টায় EXCLUSIVE দিলীপ ঘোষ
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ মে ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়া ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্যায়ণ গ্রহণ করা নিয়ে তুলকালাম বিজেপিতে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। এনিয়ে পাল্টা বলেছেন দিলীপবাবুও। জি ২৪ ঘণ্টার 'যা বলব সত্যি বলব' অনুষ্ঠানে এসে এনিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা।

    বহু দিন ধরেই দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না দিলীপ ঘোষকে। বর্ধমান থেকে ভোটে হারার পর দল তাঁকে যে ভাবে ব্যবহার করছে তাতে তা বেশ চোখে পড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। দিলীপবাবুর ঝাঁজ কি খানিকটা কমে গিয়েছে? জি ২৪ ঘণ্টা-র ডেপুটি এডিটর পিউ রায়ের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ঝাঁজের প্রতিযোগিতা কোনও দিনই করিনি। যখন আমাদের পার্টিতে কোনও মুখ ছিল না, সেইভাবে মানুষকে তারা অকৃষ্ট করতে পারেননি তখন পার্টি বাড়েনি। সেখানে জল ঢেলেছি, লড়াই করেছি। পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। ত্রিফলা কেলেঙ্কারি থেকে এরাজ্য দুর্নীতি শুরু হয়েছিল। আজ সেটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। একসময় সবকিছু দেখেও বিরোধীর কোনও দায়িত্ব নিচ্ছিল না। তখন আমার মনে হয়েছিল সরকারকে আক্রমণ করতে হবে। করেছি। এখন আমার থেকেও ধারাল অস্ত্র এসে গিয়েছে পার্টিতে।

    এতদিন দিলীপবাবুর যে ভূমিকা ছিল, আক্রমণের যে ধার ছিল তা কি কমেনি? দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষের ভূমিকা পাল্টায়। একটা মানুষ বিয়ে করল, স্বামী হয়ে গেল। ছেলে হল, সে বাবা হয়ে গেল। সে বোনের বাড়ি গেল সে মামা হয়ে গেল। কিছুদিন পরে সে ঠাকুর্দা হয়ে গেল। ভূমিকার সঙ্গে ব্যবহারও পাল্টায়। এখন বিজেপি দিলীপ ঘোষের ভূমিকা এক্সট্রা প্লেয়ারের। যেখানে কেউ ফ্লপ করলে আমাকে পাঠায়। যেমন মালদায় মোথাবাড়িতে থানা ঘেরাও হবে, আমাকে বলা হল আপনি যান। চলে গেলাম মালদায়। যে দিন কর্মসূচি করে ফিরছি সেদিনই দাঙ্গা শুরু হল। রাতের বেলা গোলমালের ভিতর দিয়ে এলাম। আগুন জ্বলছে তখন। পরে জঙ্গীপুর গেলাম, রাতে থাকলাম। সকালে চা চক্র করলাম। তার পর সভা করলাম। তারপর ফিরে এলাম। যেখানে কাজ সেখানে আমি। যেখানে আমার ভূমিকা আছে বলে দল মনে করে সেখানে আমি যাই। ধোনির ভূমিকা পালন করছি।

    দীঘায় কি এক্সট্রা প্লেয়ারের ভূমিকায় গিয়েছিলেন? দলের সঙ্গে কি এনিয়ে কথা হয়েছিল? দিলীপবাবু বলেন, দলের সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। দল তো বলে দেয়নি কেউ যাবে না। যাদের নিমন্ত্রণ করেছে তার নিজে নিজে ঠিক করেছে যাবে কিনা। সরকার থেকে আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। আমার মনে হল একবার যাওয়া উচিত। জগন্নাথের কাছে গেলাম। উনি এতদূর এসেছেন, আমি যাব না! আমি না গেলেও রাজনীতি হত, গেলেও রাজনীতি হবে। আমি গেলে একটু বেশি রাজনীতি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দশ পাঁচ মিনিট বসেছিলাম। কথা হল। উনি আমাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিলেন। এটা সৌজন্য। উনি যদি এই সৌজন্য রাম মন্দিরের সময় দেখাতেন তাহলে ভালো হত। আমাকে কেউ যদি সৌজন্য দেখিয়ে এক পা যায় তাহলে আমি দুপা যেতে রাজি। আমি রাজ্য সরকারের কয়েকজন অফিসারকে পাঠিয়ে তিরুপতি মন্দিরের ম্যানেজমেন্টে দেখে আসতে সাজেশন দিলাম। ওঁরা বললেন তা ওঁরা দেখবেন।      

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)