• সেনা ছাউনিতে ঘোরাঘুুরি, ধৃৃত আফগান
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৫
  • এই সময়, শিলিগুড়ি: সেনা ছাউনির সামনে বাইক নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার বিকেলে শিলিগুড়ির অদূরে মাটিগাড়ার খাপরাইল থেকে আটক করা হয় আয়াস খান নামে ওই ব্যক্তিকে। ধৃত আয়াস জন্মসুত্রে আফগানিস্থানের নাগরিক হলেও তাঁর দাবি, তিনি কয়েক দশক ধরে অসমের চিরাং জেলার বিজনি এলাকায় বসবাস করেন। পেশায় সুদের কারবারি। কিন্তু খাপরাইলে সেনা ছাউনির সামনে তাঁর কী প্রয়োজন? আয়াসের দাবি, কয়েকজন সেনা জওয়ান তাঁর কাছ থেকে সুদে টাকা ধার নিয়েছে। তিনি সেই টাকা আদায় করতে এসেছিলেন। কিন্তু কারা তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি আয়াস।

    গত কয়েক মাস ধরে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে রয়েছেন। সুদের ব্যবসা অসমে হলে শিলিগুড়িতে তিনি কী করতে এসেছিলেন, তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা আটক ব্যক্তির কাছ থেকে মেলেনি। রাতেই মাটিগাড়া থানার হাতে আয়াসকে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে সেনা ছাউনিতে প্রবেশের মামলা দায়ের করে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করে। আদালতে ওই ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেলেও পুলিশের সন্দেহ দূর হয়নি।

    শিলিগুড়ির উপ নগরপাল বিশ্বচাঁদ ঠাকুর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পহেলগামের ঘটনার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়ে পুলিশ, সেনা, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারি বেড়ে গিয়েছে। ব্যতিক্রম নয় উত্তরবঙ্গও। বিমান বন্দর থেকে রেল স্টেশন, রেল লাইন থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-সেতুতে নজরদারি চলছে। শুক্রবার তেমনই নজরদারির জেরে আয়াস নজরে আসেন সেনা গোয়েন্দাদের। বাইক নিয়ে সেনা ছাউনির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা, আবার বাইক নিয়ে পিছনের রাস্তায় চলে যাওয়া ছাড়াও পকেট থেকে মোবাইল বের করে বারবার কথা বলা দেখে সন্দেহ হয় সেনা কর্তাদের।

    সূত্রের খবর, জেরায় উল্টোপাল্টা বলতে শুরু করেন আয়াস। তিনি যে অসমের বাসিন্দা সেটাও স্পষ্ট ভাবে জানাননি। এর পরেই তাঁকে আটক করে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে পকেট থেকে অসমে বসবাসের প্রমাণপত্র দেখান তিনি। এক সেনা কর্তা বলেন, 'এর আগে সেনা ছাউনি থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুতরাং, এই ব্যক্তিও তেমন কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।'

  • Link to this news (এই সময়)