• মমতার মুর্শিদাবাদ সফরের আগে বাবা-ছেলে খুনে বড় সাফল্য
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ মে ২০২৫
  • সোমবার মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগে মুর্শিদাবাদে বাবা ছেলে খুনে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবারেই তিনজনের গ্রেপ্তারির খবর সামনে এসেছে। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলাম নামে এক জনকে ফরাক্কা থানার হাউসনগর এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়। তার পর হাওড়া স্টেশনের জব্বলপুর এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালিয়ে ইকবাল নামে আরও এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। পরে সাবা করিম নামে আরও এক অভিযুক্তকে জঙ্গিপুর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১০ জন।

    প্রসঙ্গত কেন্দ্রের মোদী সরকারের পাশ করা নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে সারা দেশের মতো তেতে ওঠে পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। বাদ যায়নি নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদও। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। সেই আবহে খুন হন বাবা ও ছেলে। মৃতদের নাম হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস। তাঁরা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদের বাসিন্দা।

    ধৃতদের আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। কারণ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জনের যোগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত সাউ জানিয়েছেন, বাবা-ছেলে খুনের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। নতুন করে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও এক জনকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তারির সংখ্যা মোট ১০জন। আশা করছি, এ বার দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে।

    উল্লেখ্য, পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে জানতে পেরেছে, জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুন হলেও তার নেপথ্যে ছিল ব্যক্তিগত শত্রুতা। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় অশান্তির আবহে তাদের খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)