• বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৪ বছরের শিশুকে...২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ মে ২০২৫
  • প্রদ্যুত দাস: সাড়ে চার বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের (sexual assault)এক যুবকের ২০ বছরের জেল হল। জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) বিশেষ পকসো (POCSO) আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ওই সাজা ঘোষণা করেন। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ ময়নাগুড়ি থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

    ময়নাগুড়ি থানা এলাকায় এই ঘটনার পর সেদিন রাতেই ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত শিশুটির মা। অভিযোগ, বাড়ির সামনেই ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। সেখানেই একটি গোডাউনে কাজ করত অভিযুক্ত যুবক। ভাই কিছু সময়ের জন্য অন্যদিকে গেলে‌ সাড়ে চার বছর বয়সী বাচ্চাটিকে গোডাউনের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ওই যুবক যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ।

    এই অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্তকে পরেরদিন গ্রেফতার করে। এরপর দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ভারতীয় পকসো আইনের ৬ ধারায় মামলা চলার পর শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। এছাড়া অভিযুক্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক রিন্টু শূর। নির্যাতিতা শিশুটিকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে‌ নির্দেশ দেয় তিনি।

    উল্লেখ্য, এপ্রিলেই চার বছর চার মাস বয়সী শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত যুবককে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও দুমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পাড়ারই এক যুবকের কুকীর্তির শিকার হয়েছিল চার বছর চার মাস বয়সী এক শিশু কন্যা। মায়ের কাছ থেকে চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফেরার পর যন্ত্রণায় অসুস্থ হয়ে পড়ে একরত্তি মেয়েটি। কুকীর্তি ধরা পড়ে যায় ওই যুবকের। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার পুলিস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)