সরকারি হাসপাতালের বিশেষ চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে ছানির অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। অভিযোগ, তার পরেই দৃষ্টি হারাতে বসেছেন কলকাতার এক বাসিন্দা। এই অভিযোগ নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আদালতের কাছে ওই বাসিন্দার দাবি, কলকাতার বন্দর এলাকার দুই সরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকের গাফিলতিতেই তাঁর ক্ষতি হয়েছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক কোর্ট এবং ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিক। সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে মামলাটি উঠেছিল। তবে রাজ্য সরকার এবং হাসপাতালের কোনও আইনজীবী হাজির না থাকায় শুনানি হয়নি। আদালতের খবর, আগামী সপ্তাহে ফের মামলাটির শুনানি হতে পারে।
আদালতের খবর, মামলাকারী তাঁর আর্জিপত্রে জানিয়েছেন যে, তাঁর বাঁ চোখে ছানি ছিল। গত বছরের জুন মাসে বন্দর এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালের চক্ষু শিবিরে ছানির অস্ত্রোপচার হয়। তার পরে কোনও ডিসচার্জ সার্টিফিকেট না দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের এক দিন পর থেকেই অস্ত্রোপচার হওয়া চোখে অস্বস্তি, জ্বালা, ব্যথা শুরু হয়। এর পরে ওই হাসপাতাল থেকে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখানে গিয়ে দেখেন, আরও অনেক রোগীর একই সমস্যা হয়েছে। প্রায় কুড়ি জন এমন রোগী সেখানে ছিলেন বলেও খবর।
মামলাকারীর আরও দাবি, বন্দর এলাকার ওই সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছ থেকে মামলাকারী জানতে পারেন, অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর চোখে সংক্রমণ হয়েছে। পোস্ট-অপারেটিভ এন্ডোপথালমাইটিস-এ আক্রান্ত তিনি। এর ফলে অস্ত্রোপচার হওয়া চোখে সম্পূর্ণ দৃষ্টি ফিরবে না এবং দৃষ্টিহীনও হয়ে যেতে পারেন তিনি।
কোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল সাধারণ চাকরি করেন। চোখের সমস্যার জন্য উপার্জন করার ক্ষমতা হারিয়ে প্রবল অনটনে পড়েছেন তিনি। এর উপযুক্ত বিচার হিসেবে হাসপাতালের গাফিলতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক আদালত। রাজ্য সরকারকে মামলাকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দিক কোর্ট।