• বঙ্গের উপকূলে নিরাপত্তায় জোর
    আনন্দবাজার | ০৪ মে ২০২৫
  • পহেলগামে জঙ্গি হামলার পরে উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা পুুলিশকে। প্রশাসনের খবর, বাংলাদেশের জাহাজ কিংবা নৌকার উপরে নজরদারি আরও কঠোর করতে বলা হয়েছে উপকূলীয় থানাগুলিকে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উপকূলরক্ষী বাহিনী, বিএসএফ, কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে। শুধু জলপথে নয়, উপকূলবর্তী গ্রাম, জেটি, খাঁড়ি, ল্যান্ডিং পয়েন্ট ইত্যাদির উপরে নজর বাড়াতে বলা হয়েছে। জনবসতিহীন দ্বীপগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষাও নিশ্ছিদ্র করতে বলা হয়েছে।

    পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, জলসীমান্ত পেরিয়ে কোনও অবৈধ বাংলাদেশি জাহাজ বা নৌকা যাতে দেশের এলাকায় ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বদাই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পুলিশের নজরদারি থাকে। কিন্তু পহেলগামে হানার পরিপ্রেক্ষিতে সেই নজর আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হানা এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, দুই-ই নিরাপত্তার দিক থেকে চিন্তার বিষয়। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। এ রাজ্যেও বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের জাল ধরা পড়েছে। সে দিক থেকে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজনীয় এবং সময়োচিত পদক্ষেপ।

    রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পরেই উপকূলরক্ষী বাহিনী দেশের সব উপকূলবর্তী রাজ্যকে সতর্ক করেছিল। সেই সতর্কতা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার লম্বা উপকূলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ১৪টি উপকূল থানা আছে। পুলিশ জানিয়েছে, উপকূল থানাগুলিকে ‘ফাস্ট ইন্টারসেপ্ট বোট’ দিয়ে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। সন্দেহজনক ট্রলার, জাহাজের ক্ষেত্রে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ‘ফাস্ট ইন্টারসেপ্ট বোট’-এ প্রাক্তন নৌসেনাকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ১০টি ওই গোত্রের জলযান আছে। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দ্রুতগতির জলযান ছাড়াও বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীনস্থ সুন্দরবন উপকূল থানার হাতে রয়েছে ‘ফ্ল্যাট বটম বোট’। যা খাঁড়ির মতো অগভীর জলপথে ঢুকেও তল্লাশি অভিযান করতে পারে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)