খড়দহের গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত পাঁচ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ
আনন্দবাজার | ০৪ মে ২০২৫
জাল ওষুধের কারবার চালানোর অভিযোগে মাসকয়েক আগে ধরা পড়েছিল হাওড়ার এক ব্যবসায়ী। সেই সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়ে খড়দহ এলাকা থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল।
রক্তচাপের জাল ওষুধ মজুত করে রাখার অভিযোগে ড্রাগ কন্ট্রোলের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল আমতার ওষুধ ব্যবসায়ী বাবলু মান্না। সেই সূত্রে বিহারেও শুরু হয়েছে তদন্ত। কারণ, বিহারের এক ব্যক্তির কাছ থেকেই বাবলু জাল ওষুধ এনে গুদামে মজুত করেছিল। সেই ওষুধ কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর, সেই মামলার তদন্তে জানা যায়, ভিন্ রাজ্য থেকে রক্তচাপের মতো মূত্রনালি ও মূত্রথলির অসুখের জাল ওষুধও নিয়ে এসেছিল বাবলু। সেই ওষুধ খড়দহের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর গুদামে রয়েছে। দিনকয়েক আগে আচমকা সেখানে হানা দিয়ে ওই ওষুধ উদ্ধার করে পরীক্ষায় পাঠায় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। তাদের টেস্টিং ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় দেখা যায়, ওষুধটির মধ্যে থাকা উপাদান ঠিক নয়। নামী সংস্থার মোড়কে রয়েছে ওই জাল ওষুধ। কী কী ভাবে ওই ওষুধ জাল করা যায়, তা জানতে নমুনা পাঠানো হয় আসল প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছেও।
সূত্রের খবর, ওই নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে পাঠানো রিপোর্টে জানায়, নির্দিষ্ট একটি ব্যাচ নম্বরের ওষুধ জাল করা হয়েছে। ওষুধের স্ট্রিপ, বাক্সের নকল লেবেল তৈরি করা হয়েছে। তাতে নামের বানানে ভুল রয়েছে। এর পরে ফের খড়দহের ওই গুদাম সিল করে ড্রাগ কন্ট্রোল। মালিকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে পদক্ষেপ করা হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘উপযুক্ত কাগজপত্র প্রথম থেকেই ওই ব্যবসায়ী দেখাতে পারেননি। ওষুধ যে জাল, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ অন্য দিকে, বিহারের যে লিঙ্কম্যানের মাধ্যমে বাবলু ওষুধ এনেছিল, তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে। বাবলুর থেকে কলকাতা ও আশপাশের জেলায় কী ভাবে জাল ওষুধ সরবরাহ হত, কারা লিঙ্কম্যান ছিল— তারও খোঁজ চলছে বলে ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর।