• বেকারত্ব রুখতে যুদ্ধ চান DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী
    এই সময় | ০৪ মে ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: 'যুদ্ধ হোক বেকারত্বের অবসান ঘটাতে, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের মোদী সরকার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্তান কেবলস সহ একের পর এক কারখানা আর একের পর এক কোলিয়ারি বন্ধ করছে। মানুষের হাতে কাজ নেই। এর বিরুদ্ধে যুব সমাজকে সমস্ত স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করতে। হবে।' এই আহ্বান জানালেন রাজ্যের ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার রানিগঞ্জের রাজবাড়ি মোড় সংলগ্ন ময়দানে ডিওয়াইএফআই-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাম সরকার ১ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষকে চাকরি দিয়েছিল। আর বর্তমান রাজ্য সরকার ২৬ হাজার চাকরি দেওয়ার পরে তা নিয়ে দুর্নীতির কারণে চাকরি চলে যাচ্ছে মানুষের।

    তিনি বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই শাসক দল তৃণমূল এবং বিজেপি দু'জনেরই একমাত্র অ্যাজেন্ডা ধর্ম। ওদের অ্যাজেন্ডায় কর্মসংস্থানের কথা নেই, বেকারদের রোজগারের কথা বলা নেই, কারখানা-কোলিয়ারির বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ওরা নীরব। তিনি আরও বলেন, 'এই রানিগঞ্জ শহরে বেশ কয়েক দশক আগে শ্রমিক স্বার্থে লড়াই করতে যাওয়ায় সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শ্রমিক নেতাকে ট্রাক চাপা দিয়ে মারা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আমাদের এক যুবনেতাকে গুলি করে মারা হয়। মনে রাখতে হবে, মানুষের জন্য লড়াই করতে গেলে কেস খেতে হবে, জেলে যেতে হবে। তবু লাল ঝাণ্ডা নিয়েই এগোচ্ছি।'

    শনিবার 'বিভাজন রুখে দাও, রুটি-রুজি বুঝে নাও', এই দাবিকে সামনে রেখে ডিওয়াইএফআই-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৪তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। তার আগে প্রকাশ্য সমাবেশে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিজের তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, 'সংসদে যখন ৬১ জন বামপন্থী সাংসদ ছিলেন, তখন ১০০ দিনের কাজের আইন হয়েছিল। আজ সেটুকুও এই রাজ্যে মিলছে না। মোদী সরকার দেশ জুড়ে এর জন্য বরাদ্দ অর্থ অর্ধেক করে দিয়েছে। তা নিয়ে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্তবাবু, শুভেন্দু নীরব।' এ দিন তিনি ছাড়াও সংগঠনের রাজ্য নেতা ধ্রুবজ্যোতি সাহা, ভিক্টর আচার্য ও বৃন্দাবন দাস বক্তব্য রাখেন।

  • Link to this news (এই সময়)