শনিবার সকালে শ্রীনগরে এক পাক রেঞ্জার্সকে আটক করেছে বিএসএফ। আর এই আটকের খবর আশার আলো দেখছেন ‘ভুল’ করে পাকিস্তানের সীমান্ত অতিক্রম করে পাক–রেঞ্জার্সের হাতে ধরা পড়া বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউয়ের পরিবার। গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে কর্তব্যরত অবস্থায় পাক রেঞ্জার্সের হাতে আটক হন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পূর্ণম। তিনি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা।
পূর্ণমের পরিবারের বক্তব্য, পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার পর, এ বার হয়ত পূর্ণমকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাবে সেই দেশ। ১২ দিন ধরে পাকিস্তানে রয়েছেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ। জওয়ানকে ছাড়ানোর ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে বার বার ফ্ল্যাগ মিটিং করে ভারত। তবে তাঁকে ছাড়ার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সদিচ্ছা দেখায়নি সেঙবাজ শরিফের দেশ বলেই খবর।
শনিবার পাক রেঞ্জার্সের সদস্য আটক হওয়ায়, এ বার অন্তত পাকিস্তান এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউ। রজনী অন্তঃসত্ত্বা। তার মধ্যেও স্বামীকে ফেরাতে সম্প্রতি পাঠানকোটে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিএসএফ-র সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি জানান, পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সব রকম চেষ্টা চলছে বলে বিএসএফের তরফে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়। কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে বলা হয়।
পূর্ণমের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার পর ১২ দিন কেটে গেলেও তাঁদের কাছে কোনও খবর আসেনি। তবে বিএসএফের হাতে পাক রেঞ্জার্সের আটক হওয়ার খবর শুনে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন তিনি। রজনি মনে করছেন, এ বার হয়ত নিজেদের দেশের সেনাকে ফেরাতে পূর্ণমকে ভারতে ফিরিয়ে দেবে পাকিস্তান। এর আগে ৭-৮ বার ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে যে কাজ হয়নি, নিজেদের স্বার্থে এ বার হয়ত পাকিস্তান সাড়া দেবে। কারণ, এ বার তাদের স্বার্থ রয়েছে। তবে কয়েক দিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনে দিল্লি গিয়ে বিএসএফের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান রজনী।