পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় নিরাপত্তার গাফিলতি ছিল। এত বড় একটা জঙ্গি হামলা অবশ্যই ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা’। এমনটাই অভিযোগ তুললেন জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহর স্ত্রী শবরী গুহ। এমনকী, স্বামীর মৃত্যুর পর LIC ক্ষতিপূরণ নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, অপপ্রচারের কারণে তাঁরা চরম মানসিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
পহেলগামের জঙ্গি হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ছিলেন বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের জুনিয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার ছিলেন। কন্যা ও স্ত্রীর সামনেই তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। বৈসরন উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে শবরী বলেন, ‘আমরা সবে পহেলগাঁও পৌঁছেছি। প্রায় ১৫ মিনিট পরেই গুলির শব্দ শুনি।…আমার স্বামীর কাছেই এসে গুলি চালানো হয়। সেনা এসে পৌঁছতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে। এমন একটা জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকা খুবই হতাশাজনক। সরকারের উচিত এই বিষয়ে জবাব দেওয়া।’
স্বামীর মৃত্যুর পরেই LIC-র তরফে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তাঁদের পরিবারকে। তবে, ক্ষতিপূরণের যে অঙ্কটি সংবাদ মাধ্যম বা সমাজমাধ্যমে রটেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সমীর গুহর স্ত্রী শবরী গুহ ও শ্যালক সুব্রত ঘোষ। এমনকী, এলআইসির তরফে একজন তাঁদের বাড়ির ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছে। এলআইসি কোনওভাবে বিজ্ঞাপন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
তাঁদের কথায়, ‘আমরা LIC-র তরফে ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়েছি। এখনও কিছু টাকা বাকি রয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা পাইনি। এই মর্মান্তিক ঘটনার সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ প্রচারের চেষ্টা করছেন। এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’ শবরী জানান, স্বামীই একমাত্র তাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী ছিলেন। তিনি যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী ছিলেন, সেই কারণে স্বামীর চাকরিটা তাঁকে দেওয়া হোক বলে দাবি করেন।