অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড সামশেরগঞ্জের ওসি এবং সাব ইন্সপেক্টর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ সফরেই আগেই নবাবের জেলায় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় একজন এএসপি নিয়োগ করা হল। এতদিন সেখানে শুধুমাত্র একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। সোমবার মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগে পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক সপ্তাহ আগে অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদে। আদালতের নির্দেশে জেলায় নেমেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময় পুলিশের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছিলেন অনেকে। এরপর গাফিলতির অভিযোগে সামশেরগঞ্জ থানার ওসি শিবপ্রসাদ ঘোষ এবং থানার মেজোবাবু তথা এসআই জালালউদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়। এবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তাঁদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল।
অবশ্য ঠিক কতদিন তাঁরা সাসপেন্ড থাকবেন, তা স্পষ্ট নয়। যতদিন সাসপেন্ড থাকবেন, ততদিন তাঁরা বেসিক বেতনের অর্ধেক টাকা পাবেন। পাশাপাশি সরকারি জিনিসপত্র সমস্ত জমা দিয়ে দিতে হবে। তবে প্রতিদিন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার রোল কলের সময় তাঁদের উপস্থিত থাকতে হবে। এর পাশাপাশি জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় এতদিন একমাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন মহম্মদ নাসির। এবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্যজিৎ বড়ুয়াকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় একই পদে বদলি করা হল।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবহে কয়েক সপ্তাহ আগে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকায়। সেই অশান্তির জেরে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ সিট গঠন করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে মুর্শিদাবাদের জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও দোকানের তালিকা প্রস্তুত করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাহায্য করা হয়েছে।