• ভয়ংকর! 'খুনি' হাতির তাণ্ডবে এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক, হাড়হিম...
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ মে ২০২৫
  • মনরঞ্জন মিশ্র: লোকালয়ে হাতির হানা, জখম এক। ঘটনা পুরুলিয়ার পুঞ্চা এলাকার। দলছুট বুনো হাতির আতঙ্ক দানা বেঁধেছে এলাকায় । এদিন সকালে দেখা যায় পুঞ্চা বাজার সংলগ্ন ব্লক মাঠে হাতির উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওই হাতির পায়ের ছাপ দেখে এলাকাবাসীরা গতিবিধির উপর নজর রাখেন। 

    হাতি যাওয়ার রাস্তায় এক ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীরা। তড়িঘড়ি বৃদ্ধকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরে বাঁকুড়াতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    হাতির হানায় মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার ওই বৃদ্ধকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয় বৃদ্ধর। 

    উত্তম সহিস নামে এক এলাকাবাসীর দাবি, '৪:৫০ এ যখন আমি বাঁকের মোড়ে যাই, তখন হাতি এসেছে বলে এক ভদ্রমহিলা চিত্‍কার করছেন শুনতে পাই। সেটা শোনা মাত্রই আমরা দৌড়ে যাই, কিন্তু তখন একটু অন্ধকার থাকায় আমরা কিছু বুঝতে পারিনি। আমাদের বাড়ির পাশে একটা বাঁক আছে, যেখানে সব মহিলারা কলে জল নেয়। চিত্‍কারের শব্দ শুনে আরও কিছুটা ছুটে যাই আমরা। সেখানেই আমরা হাতিটিকে দেখতে পাই। সে নিজের মতো হেলতে দুলতে উঠছিল রাস্তায়।'

    এলাকার মানুষদের দাবি হাতি এখনও নদীর পারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁরা বলেছেন, হাতি বাহাদুর মাহাতো নামে এক লোককে আক্রমণ করেছে। ওনাকে বাঁকুড়ার হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    হাতির ভয়ে এলাকার মানুষ রীতিমতো হুড়েহুড়ি শুরু করে দেয়। এলাকায় ছড়িয়ে যায় চাঞ্চল্য। এলাকার মানুষেরা দাবি করেছে খুবই সঙ্কটজনক অবস্থায় বাহাদুর মাহাতোকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা প্রথম থেকেই খুবই উদ্রিব ছিল। পরে তাঁরা খবর পেয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

    ক'দিন আগেই লোকালয় বাইসনের হামলা ঘটেছিল। ঘটনাস্থল ছিল জলপাইগুড়ি রায়পুর চা-বাগান। ওই চা-বাগান থেকে দুটি বাইসন বেরিয়ে এসে ঢুকে পড়েছিল রংধামালি এলাকায়। দুজনকে আহত করেছিল প্রাণীটি। সাম্প্রতিক সময়ে বাইসনের হামলায় এই নিয়ে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সেখানে তিন। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আহতদের। রংধামালি এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাস এবং গোলক মণ্ডল আহত হয়েছেন বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন বনদফতরের কর্মীরা।

    সাতসকালে বাইসনের হামলা জলপাইগুড়ি শহর-সংলগ্ন রায়পুর চা-বাগান এলাকায়। দুটো বাইসন চা-বাগানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আহত এক মহিলা এবং দুই পুরুষ। জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে বনদফতর। গুরুতর আহত মহিলার নাম দেমনি চিক বারাইক (আনুমানিক ৬০) বাড়ি ভগদ লাইন, রায়পুর চা বাগান এলাকা। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তাঁর নাতি বিশু তরি আহত অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি। তিনি ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রবিবার সকালে বলেন, 'দেমনিদেবী সম্পর্কে আমার দিদা। সাতসকালে বাড়িতে উঠোনে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। সেই সময়ে হঠাৎ বাইসন হামলা করে তাঁর উপর। কাঁধে মেশিন নিয়ে স্প্রে করার কাজ করছিলাম তখন আমি। চিৎকার শুনে সামনে গিয়ে দেখি, দুটো বাইসনের একটি পালিয়ে গেলেও অন্যটি দিদাকে আঘাত করে। আমি বাইসনের সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করি। ওই স্প্রে মেশিন দিয়ে বাইসনের হামলা থেকে দিদাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।' 

    এর ক'দিন পর খবর আসে হাতির হামলায় মৃত্যু হয় নন্দু খেরিয়া (৩৬) নামে এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ১০টা নাগাদ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ করেই লাটাগুড়ির জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়ে বড়দিঘি এলাকায়। হাতি আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে, টর্চ জ্বালিয়ে হাতিটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এই সময় হাতিটি নন্দু খেরিয়ার দিকে আক্রমণ করে। শুঁড় দিয়ে তুলে তাঁকে বাড়ির সামনেই আছাড় মারে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)