পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মহম্মদ আসিফ কামার। বয়স ২৪ বছর। তিনি বিহারের বাসিন্দা। খড়গপুর আইআইটিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন মহম্মদ। থাকতেন আইআইটির মদনমোহন মালব্য হলে (ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছাত্র হস্টেল)। রবিবার তাঁর বাড়িতে যাওয়া কথা ছিল। তার আগেই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রুমের দরজা বন্ধ ছিল পড়ুয়ার। বন্ধুবান্ধব তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেনি বলেই জানিয়েছেন। রাতে দিল্লি থেকে এক তরুণী ফোন করে আইআইটি কর্তৃপক্ষকে জানান মহম্মদ আসিফ সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন। এই খবর পাওয়ার পরই কর্তৃপক্ষ, নিরাপত্তারক্ষী ও তাঁর বন্ধুরা আসিফের রুমের সামনে যান। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি তাঁরা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে দরজা খুলে আসিফের ঝুলন্ত উদ্ধার করে।
তাহলে কী প্রেমঘটিত কারণেই এই মৃত্যু? দিল্লি থেকে ফোন করা ওই তরুণী বা কে হন আসিফের? প্রেমিকা নাকি, পরিবারের সদস্য? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণী কে তা জানা যায়নি। তবে তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময়ই এই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই নিয়ে গত চারমাসের মধ্যে ৩ পড়ুয়ার মৃত্যু হল খগড়পুর আইআইটিতে। যা হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রবিবারের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।