বিধান নস্কর, বিধাননগর: বিজেপির অন্দরে গৃহযুদ্ধ অব্যাহত! এবার বঙ্গ বিজেপির বহু নেতার মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ। কে পাথরে মূর্তি বিক্রি করে, কে বালির খাদান খোঁড়ে, সব তাঁর জানা বলে দাবিও করলেন। এবার সেই সব তথ্য নিয়ে মুখ খুলবেন বলেও জানিয়ে রাখলেন তিনি। একইসঙ্গে খোঁচা, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে কয়লা মাফিয়া লালার যোগ রয়েছে। ওখান (তৃণমূল) থেকে যারা এসেছে তারা ব্য়াগেজ নিয়ে এসেছে। সবমিলিয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের একহাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর থেকেই বঙ্গ বিজেপি তোলপাড়। এই আবহে শনিবার অর্জুন সিং দাবি করেন, জিয়ারুল হক যার সঙ্গে দিলীপবাবু ঘুরছেন, তিনি আদতে কুখ্যাত স্মাগলার বারিক বিশ্বাসের ডান হাত। বারিক বিশ্বাস আবার তৃণমূলের শেখ শাহাজাহানের শাগরেদ বলেও দাবি করেন অর্জুন। রবিবার এই অভিযোগের পালটা দিলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “যারা আমাদের পরিচিত বা দলের সমর্থক সমাজের এমন বিশিষ্ট মানুষদের নাম বিভিন্ন কমিটির জন্য আমরা সুপারিশ করি। জিয়ারুল হক দিশা কমিটির মেম্বার। ওঁকে অনেকদিন ধরে চিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওঁকে করেছে। এবার ওঁ সঙ্গে কার সঙ্গে যুক্ত, সমাজবিরোধী কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে।” একইসঙ্গে দিলীপের প্রশ্ন, “উনি (অর্জুন সিং) জানলেন কী করে বারিক বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে? আমি যদি বলি লালার সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের যোগ আছে। নিয়মিত টাকা নেয়। আমি এমনি বলছি না। দুর্গাপুরের রাজু, যাকে শুট আউট করে মারা হল, তাকে তো ও-ই দলে যোগ দিইয়েছিল। দিলীপ ঘোষ কোনও মাফিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। প্রমাণ দাও।”
এরপরই দিলীপের হুঁশিয়ারি, “আমি তো সবে শুরু করেছি। এরপর কে কালো গরুর দুধ খায়, কে পাথরের মূর্তি বিক্রি করে, কে বালি খাদান খুঁড়ে বেড়ায়। ওখান (তৃণমূল) থেকে যারা এসেছে সকলে ব্যাগেজ, বোঝা নিয়ে এসেছে। আমি এতদিন বলতাম না। কিন্তু এবার…।” সবমিলিয়ে অন্য দল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন দিলীপ।