• সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্রের ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশে থাকবে বামেরা, বৈঠকেই জানান বিকাশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ মে ২০২৫
  • গত ২২ এপ্রিল সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তাতে দলের প্রতিনিধি হিসাবে বিকাশই উপস্থিত ছিলেন।

    পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই নেট নাগরিকদের একাংশ বামপন্থীদের নিশানা করছেন। তাঁদের দাবি, বামেরা নাকি এই ঘটনা নিয়ে তেমন সরব নয়। যার জবাবে পালটা প্রতিবাদের ছবি তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে বাম নেতাদেরও। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সংবাদমাধ্যমকে বিকাশ সরাসরি জানান, 'যাঁরা অজ্ঞতার উপর দাঁড়িয়ে বিবেচনা করেন', তাঁরাই বামেদের এই ইস্যুতে কটাক্ষ করার কারণ ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন!

    বিকাশ জানিয়েছেন, সর্বদলীয় বৈঠকেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে কেন্দ্র যা যা ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে, তাতে পাশে থাকবে সিপিআই। বিকাশ সংবাদমাধ্য়মকেও সেকথা জানিয়ে বুঝিয়ে দেন, এটাই তাঁদের দলের অবস্থান।

    কিন্তু, একইসঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তোলেন বিকাশরঞ্জন। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীর যে সুরক্ষিত, এই নিশ্চয়তা পর্যটকরা তো সরকারের আচরণেই পেয়েছিলেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, নির্বাচন হয়েছে, এমনকী - নোটবন্দির মতো পদক্ষেপ করে সরকার দাবি করেছে, এর ফলে সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে যাবে। কিন্তু, বাস্তবে কি তেমনটা হয়েছে?

    বিকাশ মনে করেন, কাশ্মীরে পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। এক্ষেত্রে তাই সরকারের সেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশ। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পুলিশ প্রশাসন কেন্দ্রের অধীনস্ত, রাজ্যের নয়।

    এই প্রসঙ্গে পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে, সে বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলা হয়। আবার, এবার যখন পহেলগাঁও হামলা হল, তার ঠিক কাছাকাছি সময়েই একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন।

    তিনি বলেন, 'পুলওয়ামায় অত বড় একটি ঘটনা ঘটল, সরকার তদন্ত করে কী তথ্য দিয়েছে? আজ পর্যন্ত কেউ জানে, পুলওয়ামায় কারা ঘটেছিল ঠিক একটি নির্বাচনের আগে, পহেলগাঁও হামলা ঘটল আরও একটি নির্বাচনের মুখে! প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী বক্তৃতা করছেন। কিন্তু, তিনি অল পার্টি মিটিংয়ে নেই।'

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বিদেশ সফরে কাটছাঁট করে দেশে ফিরে এলেও সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন না। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। সেই বিতর্ক আরও বাড়ে, যখন দেখা যায় তিনি ভোটমুখী বিহারে সভা করছেন। সেই সভার মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীকে ইংরেজিতে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়। আবার, সেই একই মঞ্চে তাঁকে এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে হাসিমুখে কথা বলতেও দেখা যায়!
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)