চাকরিহারাদের আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, রিভিউ পিটিশন করা হবে। সেই মতো, SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করলেন SSC চেয়ারম্যান। শোনা যাচ্ছে, যোগ্য চাকরিহারারাও রিভিউ পিটিশন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দিল্লি যান SSC-এর চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তারপরই শনিবার সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। যোগ্য চাকরিহারারাও জেলাওয়ারি তালিকা করছেন। তারপর তাঁরাও রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে পারেন। তবে যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশের ইচ্ছা, যেহেতু প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে এই মামলা ছিল এবং খুব শীঘ্রই তিনি অবসর নেবেন তাই নতুন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে তাঁদের মামলা উঠুক। প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে অবসর নেবেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় পুরো প্যানেলটাই। রায়ের বিরোধিতা করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকার। কিন্তু লাভ হয়নি কোনও। ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ তালিকা দিতে না পারায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও।
এরপরই আন্দোলন শুরু করেন চাকরিহারারা। তাঁদের মূলত দুটো দাবি। প্রথমত, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর OMR শিট আপলোড করতে হবে ওয়াবসাইটে। এর মধ্যেই গোটা রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করল SSC।
ইতিমধ্যে আদালতে মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনও করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র ‘যোগ্য’ শিক্ষকরাই আপাতত কাজ চালাতে পারবেন। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আদালতের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি।