অরূপকুমার পাল, ঝাড়গ্রাম
বেলপাহাড়ির 'সাদা পাহাড়' পর্যটন শিল্পে দিগন্ত খুলবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 'সাদা পাহাড়' সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সুদেব বেরার মাধ্যমে। আর সেটা দেখেই হাতেগোনা কিছু পর্যটক নতুন জায়গায় সন্ধান পেয়েছেন। লোকমুখে 'সাদা পাহাড়'। তবে স্থানীয় লোকজন সেটাকে 'চাতন ডুংরি' নামেই চেনেন। বেলপাহাড়ি ঘুরতে এসে কাঁকড়াঝোর যাওয়ার পথে প্রায় সাত-আট কিলোমিটার গেলেই পড়বে বোদাডিহি মোড়। সেই মোড় থেকে ডান দিকে প্রায় তিরিশ মিটার টিলার উপরে উঠলেই দেখা মিলবে এই সাদা পাহাড়ের।
এ ধরনের সাদা পাথর বেলপাহাড়ির অন্য কোথাও দেখা যায় না বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। বোদাডিহা গ্রামের নিরাপদ মাহাতো বলেন, 'এটি একটা ছোট্ট পাহাড়। আমরা চাতন ডুংরি বলি। কিন্তু এর পাথরগুলো একেবারে ধবধবে সাদা। কিছু পর্যটক খোঁজ-খবর নিয়ে আসে এখন। তবে সে ভাবে লোকজন এখনও সাদা পাহাড়ের খোঁজ জানে না।'
কলকাতার যোগমায়াদেবী কলেজের ভূগোল বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তথা ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা কিশোর দণ্ডপাট বলেন, 'এটি কোয়ার্টজ়াইট পাথর। জেলার মধ্যে বেলপাহাড়ির বোদাডিহি মোড় সংলগ্ন টিলার উপরে শুধুমাত্র দেখা যায়। আমি নিজেও প্রথম এই পাহাড় দেখে অবাক হয়েছিলাম। এই সুদৃশ্য পাহাড় সম্পর্কে পর্যটকরা জানতে পারলে ঝাড়গ্রামের পর্যটন মানচিত্রে তা নতুন পালক যুক্ত হবে।' বেলপাহাড়ি যেন পাহাড়, ডুংরি, ঝর্নার ক্যানভাসে আঁকা ছবি। ঝর্নার জল, পাখির কলরবে পাহাড়-ডুংরির কোলে পড়ন্ত সূর্যের মায়াবী রূপ পর্যটকদের বারবার টানে।
ঝাড়গ্রামের পর্যটন দপ্তরের আধিকারিক মহম্মদ আলিম আনসারির কথায়, 'প্রশাসনিক ভাবে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থল সুন্দর করে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের মূল সৌন্দর্য বেলপাহাড়িতে। এখানে সবুজ জঙ্গল, পাহাড়, নদী, জলপ্রপাত রয়েছে। আশা করছি, সাদা পাহাড়ও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।'