• ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বেঁকে বসলেন জমিদাতাদের একাংশ, তবে কি পাকছে জট?
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৫
  • ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক সম্মতিপত্র আদায় করতে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসনের আধিকারিকরা। সম্প্রতি শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ মতো প্রয়োজন ঘাটাল শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েকশো ফুট জমির। সেখানে শিলাবতী নদীর তীরে হবে রিটেনিং ওয়াল বা কংক্রিটের গার্ডওয়াল। তার জন্য, ঘাটালবাসীর কাছ থেকে উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে এই জমি কিনে নেওয়ার জন্য এলাকায় এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা তথা মনিটরিং কমিটি ও সাব কমিটির সদস্যরা।

    সেই মতো রবিবার বিকেলে ঘাটাল পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুরে গিয়েছিলেন মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির সদস্য তথা কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুদাইত, ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা-সহ সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও দপ্তরের আধিকারিকরা।

    রিটেনিং ওয়াল বা কংক্রিটের গার্ডওয়াল তৈরি করার জন্য এলাকার প্রায় ২০০ জনের জমি কিনে নিতে হবে। কিন্তু, এ দিন বৈঠক শুরুর আগেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটি ও সাব কমিটির সদস্যদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় সকলকেই।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের জন্য কী ভাবছে, তা পরিষ্কারভাবে জানানো হচ্ছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তাঁরাও চান। কিন্তু ঘর বাড়ি হারিয়ে পথে বসতে হলে, তেমন মাস্টার প্ল্যান তাঁরা চান না। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ তথা মনিটরিং কমিটির সদস্য আশিস হুদাইত বলেন, ‘কেউ কেউ আমাদের বক্তব্য না শুনে শুধুমাত্র নিজেদের কথা বলতেই ব্যস্ত, তাই বৈঠক মাঝপথেই শেষ করে দিতে হয়েছে। তবে আগামিদিনে আমরা আবার আসব।’

    সাব কমিটির সদস্য দিলীপ মাজিরও দাবি, যথেষ্ট টাকা দিয়েই জমি কেনা হবে। কিন্তু তাঁদের বার্তা কেউ কেউ শুনতেই চাইছেন না। এর পিছনে কোনও উস্কানি থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)