• মুদির দোকান চালাতে-চালাতেই মাধ্যমিকে ৬৮৪! নিত্যদিনের নুন-তেল-হলুদ থেকেই স্বপ্নের উড়ান কৌশিকের...
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ মে ২০২৫
  •  প্রদ্যুত দাস: প্রতিদিন মুদির দোকানেই দিন কাটত। পেশায় টোটোচালক‌ বাবার অভাবের সংসারে দারিদ্র নিত্যসঙ্গী। আর এই জীবনকে সঙ্গে নিয়ে তাক লাগানো সাফল্য মাধ্যমিকে। 

    জলপাইগুড়ি জেলার কৌশিক ঘোষ। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন কৌশিক। আগামীদিনে ডাক্তার হবার স্বপ্ন দেখছেন কৌশিক 

    তাঁকে ফুলে তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায়ের পাশাপাশি সিপিআই(এম) সদর পশ্চিম এরিয়ার সদস্যরা। । কৌশিকের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সকলেই।

    জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা কৌশিকের বাবা বিপ্লব ঘোষ পেশায় টোটোচালক‌।  শহরের সোনাউল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কৌশিক এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৪ নম্বর পেয়েছে।  

    নিত্যদিন অভাবকে সঙ্গি করেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে কৌশিককে। বাড়ির সামনের মুদি দোকান চালাতে হয় তাঁকেই। কৌশিকের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই অঙ্গীকার নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াতে কৌশিকের বাড়িতে উপস্থিত হন সিপিআই(এম) সদর পশ্চিম এরিয়ার সদস্যরা। ছিলেন এরিয়ার সম্পাদক শুভাশিস সরকার, সানন্দ সরকার, আব্দুল করিম, বিশ্বজিৎ মালাকার, চিত্তরঞ্জন রায়, এলাকার সিপিআই(এম)র পঞ্চায়েত সদস্যা কল্যানী সরকার প্রমুখ।  

    কৌশিকের বাড়িতে পৌঁছান এবিটিএ-র নেতৃত্বরাও।  উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ রায়, কৌশিক গোস্বামী প্রমূখ।  কৌশিকের আগামী দিনের চলার পথ যাতে আরো উজ্জ্বল হয় এবং তার আরো সাফল্য কামনা করেছেন সিপিআই(এম) সদর পশ্চিম এরিয়া সম্পাদক শুভাশিস সরকার, যেকোনো সমস্যায় কৌশিকের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।  আগামী দিনে আরো ভালো রেজাল্ট করবে বলে জানান কৌশিক।  মাত্র ২ নম্বরের জন্য রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে কৌশিকের।  কৌশিকের এই সাফল্যে খুশি তার মা এবং গোটা পরিবার, এলাকার মানুষ।

    খবর পেয়ে কৌশিকের বাড়িতে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি সদর ব্লক সমিতির সভাপতি বিনয়ের রায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশে থাকার আশ্বাস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)