• ফেসবুকে সমস্যা জানালেই মিলছে সমাধান, লাফিয়ে ফলোয়ার বাড়ছে বনমন্ত্রী বীরবাহার!
    প্রতিদিন | ০৫ মে ২০২৫
  • সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেখানেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনে সমাধান করছেন। ফলে হু হু করে বাড়ছে এনগেজমেন্ট, ফলোয়ার। এদিকে মুঠোফোনে মন্ত্রীকে নাগালে পাওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।

    বিষয়টা ঠিক কী? সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য অসিতকুমার মাহাতো ফেসবুকে জানিয়েছিলেন পানীয় জলের সমস্যার কথা। নজরে পড়তে কমেন্টবক্সে বিস্তারিত জানতে চান মন্ত্রী। এরপরই রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অফিসারদের সমস্যাটি সমাধানের নির্দেশ দেন। তাতেই কাজ হয়। জল সমস্যা ওই এলাকায় অনেকটাই মিটছে বলে খবর। মানিকপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য অসিতকুমার মাহাতো বলেন, “আমাদের অঞ্চলে বছর দেড়েক আগে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে পাইপ লাইন, কল বসানো হয়েছে। কিন্তু জল আসেনি। আমাদের বিধায়ক, মন্ত্রী ম্যাডামকে যখনই সমস্যার কথা জানানো হয় তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন। ফেসবুকে যখনই এই সমস্যার কথা বলেছি। তারপরই ওই দপ্তরের অফিসাররা এসে দেখে যান। অধিকাংশ জায়গায় এখন জল আসছে। কয়েকটি জায়গায় যান্ত্রিক সমস্যা রয়েছে। সেগুলিরও দ্রুত কাজ চলছে। আমরা সত্যিই উপকৃত।”

    জল সমস্যার পাশাপাশি রাধানগর অঞ্চলের জয়নগর এলাকার রাস্তা খারাপ এমন অভিযোগও ফেসবুক মারফত পেয়ে খোঁজ নেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে মন্ত্রীর ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছিল। মাস আটেক আগে নতুন পেজ তৈরি করেছেন তিনি। ফলোয়ার সংখ্যা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ১০ হাজারের কাছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে ফলোয়ার। অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামীন এলাকার মানুষজন স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস যাওয়ার থেকেও মন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়াই বেশি পছন্দ করছেন। বিশেষ করে সোশাল মিডিয়ায় সমস্যার কথা জানিয়ে পোস্ট করতেই মন্ত্রী সমস্যা সমাধান করার বিষয়টা সকলের বেশ পছন্দ হয়েছে। এবিষয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বক্তব্য, “আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। কারণ, মানুষ মনে করছেন আমার কাছে সহজে আসা যায়, সমস্যার কথা বলা যায়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ রাস্তার কাজ তো করেই। যেহেতু দপ্তরে আছি তাই এলাকায় রাস্তার সমস্যা থাকলে আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য বলি মানুষজনকে। প্রশাসন যথেষ্ট কাজ করে। অফিসে যেতে হয়তো মানুষের একটু অনিহা। তাই তারা আমাকে বলেন। আমিও চেষ্টা করি সমস্যা মেটানোর।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)