• লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা! একাধিক এটিএম কার্ড সহ ধৃত মহিলা
    বর্তমান | ০৫ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লোন করে দেওয়ার প্রলোভন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই নথি দিয়ে দিচ্ছেন। খোলা হচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেটা দিয়েই চলছে অবৈধ লেনদেন। তাছাড়াও গ্রামে গ্রামে অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারকরা। সাইবার থানার পুলিস সূত্রে খবর, অ্যাকাউন্ট খোলানোর পর প্রতারকদের হাতে ব্যাঙ্কের পাসবই ও এটিএম কার্ড দিলেই দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা। এভাবেই সাইবার প্রতারণার জাল ছড়ানো হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। গত বুধবার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার মালদহ জেলার রতুয়া থেকে জালে পড়লেন এক মহিলা। তাঁর নাম কাশ্মীরা বিবি। তিনি গ্রামের মানুষকে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খুলে পাসবই ও এটিএম কার্ড নিতেন। পরবর্তীতে সাইবার প্রতারকদের সেই পাসবই ও এটিএম কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা পেতেন মহিলা। গ্রেপ্তার করার পর তাঁর কাছ থেকে ২১ টি পাসবই ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।

    এবিষয়ে ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বলেন, গত বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সূত্র ধরে আরও এক মহিলাকে ধরা হয়েছে রতুয়া থেকে। ওই মহিলার কাছ থেকে ২১ টি পাসবই এবং এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে এই প্রতারকদের অপারেশন চলত, তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

    পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত রাকিবুল ইসলাম ও মোক্তার ইসলামের বাড়ি পতিরাম থানার ইন্দ্রা এলাকায়। এই দুই ভাই মূলত জেলার সাইবার প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা। তাদের বাবা গোলাপ ইসলাম পলাতক। তিনিও এই কাজে যুক্ত বলেই পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁরা গ্রামের মানুষকে লোনের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতেন। একইভাবে জালিয়াতি করে সিমও কেনা হতো। তাঁদের একাজে সাহায্য করতে মহিলাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বুধবার গঙ্গারামপুরের রত্না রায় নামে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রত্নাও বেনামি সিম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে ওই দুই ভাইয়ের হাতে তুলে দিতেন। ওই কাজের সঙ্গে এবার রতুয়ার কাশ্মীরা বিবির নাম উঠে এসেছে।

    পুলিস সূত্রে খবর, ওই প্রতারণা চক্রের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার মূল পান্ডা রাকিবুল ও মোক্তার বছরখানেক আগে এই কাজে যুক্ত হওয়ার পর কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করেছে। তাদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও কলকাতার যোগ রয়েছে বলে পুলিসের দাবি। 
  • Link to this news (বর্তমান)