সংবাদদাতা, হবিবপুর: মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের পর থেকে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল বেড়েই চলেছে। এর ফলে বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা। গত ১৫ দিনে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় দু’জনের। গুরুতর আহত পাঁচজন। তাছাড়াও ছোটখাটো দুর্ঘটনার ঘটনা প্রায় দিনই লেগে রয়েছে রাজ্য সড়কে। হবিবপুর ব্লকের প্রাণকেন্দ্র বুলবুলচণ্ডী। হাসপাতাল মোড় থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত রাস্তা অত্যন্ত ব্যস্ত ও জনবহুল। হবিবপুর ব্লকে ট্রাফিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, বুলবুলচণ্ডী আরএন রায় বিদ্যানিকেতন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে রাজ্য সড়কে স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও বসানো হবে। বেপরোয়াভাবে যান চালালে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় রাজ্য সড়ক সংলগ্ন দু’ধারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, একটি গ্রামীণ হাসপাতাল, একাধিক সরকারি, বেসরকারি দপ্তর ও জনবহুল মার্কেট রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়।
পয়লা বৈশাখের সকালে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শ্রীকান্ত বসুর (৬১)। কিছুদিনের মধ্যেই পরপর দু’দিন বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টরে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম হন তিনজন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন পরবর্তীতে মৃত্যু হয় মনোরঞ্জন সাহার (৫৬)। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বৈষ্ণবনগরের সব্দলপুর এলাকার বাপি দাস। জনবহুল এলাকায় যানবাহন চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সুজিত সরকারের কথায়, রাস্তার দু’ধারে অনেকে গাড়ি পার্কিং করেন। রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে স্প্রিড ব্রেকার লাগানো হোক। বেপরোয়া যানবাহনের দৌরাত্ম্য রুখতে বসানো হল স্পিড ব্রেকার।-নিজস্ব চিত্র