জাতীয় সড়কে আবর্জনার স্তূপে দুর্গন্ধ, বাসিন্দাদের দিকে আঙুল কালিয়াচকে
বর্তমান | ০৫ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, কালিয়াচক: জাতীয় সড়কের একেবারে উপরেই আবর্জনার স্তূপ কালিয়াচকে। বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সাফাইয়ের জন্য জানালেও ঠিকাদারদের গা ছাড়া মনোভাব বলে অভিযোগ। জাতীয় সড়কের একেবারে পাশেই বহু দোকানপাট। সেখানে দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত ক্রেতা, বিক্রেতাদের। প্রশ্ন উঠছে এই আবর্জনা আসছে কোথা থেকে? পথযাত্রী এবং গাড়িচালকদের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ও বিভিন্ন খাবারের দোকানের মালিকেরা আবর্জনা জাতীয় সড়কের উপরে ফেলে দিয়ে যাচ্ছেন। কারণ এই সড়কে সেভাবে নজরদারি নেই কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় টোটোচালক আব্দুল রাকিবের কথায়, রোজই এলাকার বাসিন্দারা বাড়ির আবর্জনা নিয়ে জাতীয় সড়কের উপর ফেলছেন। আমরা বারবার বারণ করলেও কেউ পাত্তা দেন না। গোলাপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও শিক্ষক নিত্যযাত্রী সায়ন কর্মকারের কথায়, দীর্ঘদিন এই এলাকায় আবর্জনার স্তূপ জমছে। সাফাই হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই।
আবর্জনা জমে দূষণ ছড়ালেও হুঁশ ফিরছে না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের। আমরা চাইছি কড়া নজরদারি চালিয়ে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা হোক। এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূল নেতা আব্দুর রহমান জানান, জাতীয় সড়ক পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির। তাদের অনেকবার বলার পর ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা আবর্জনা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু কয়েকদিন যেতেই ফের একই অবস্থা। কারণ ফের ১০-১৫ দিন সাফাই হয় না।
রোজ সাফাই হলে আবর্জনা জমবে না। ঠিকাদারি সংস্থার সুপারভাইজার সেলিম আলি বলেন, আমরা রোজ সাফাই করি। কিন্তু এলাকার বাসিন্দারা আবর্জনা ফেলে দিয়ে যান রাস্তায়। বারণ করা হলেও শোনেন না।
জাতীয় সড়কের জেনারেল ম্যানেজার এস ভেঙ্কটস্বামী বলেছেন, সমস্যাটি গুরুতর। আমরা আগেই বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয়রা ইচ্ছাকৃত আবর্জনা ফেলছেন। আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করব। রাস্তার ধারে আবর্জনা জমে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।-নিজস্ব চিত্র