সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: রবিবার বিষ্ণুপুরের সুভাষ ক্লাবের তরফে মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সৌম্য পালকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী প্রমুখ। সংবর্ধনা পেয়ে খুশি সৌম্য। এদিন ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন সৌম্যর বাবা বংশীধর পাল। তিনিও খুবই খুশি হন।
ক্লাবের সম্পাদক দেবব্রত সিংহ বলেন, আমাদের ক্লাবের তরফে সারাবছরই নানা সামাজিক কাজকর্ম করা হয়। বিষ্ণুপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে বর্তমানে রক্তের সঙ্কট চলছে। তাই তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এদিন রক্তদান শিবির করা হয়। সেই সঙ্গে বিষ্ণুপুরের গর্ব মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সৌম্যকে সংবর্ধনা দিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগামী দু’বছর সৌম্যর বইপত্র যা প্রয়োজন হবে, আমরা তাকে তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।
ক্লাবের সভাপতি অসিত দিকপতি বলেন, আমাদের ক্লাব রসিকগঞ্জে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত হলেও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সদস্য রয়েছেন। সকলের সহযোগিতায় আমরা সামাজিক কর্মকাণ্ড করতে উৎসাহ পাই। করোনাকালে বাস চলাচল বন্ধ থাকার সময় আমরা বাসকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এছাড়াও রক্তদান, বস্ত্রদান, স্বাস্থ্যশিবির সহ নানা সামাজিক কাজ করা হয়। সৌম্য বলে, বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসছেন যে নাগরিকদের কাছে আমি ঋণী হয়ে গেলাম। বড় হয়ে প্রতিষ্ঠা পেলে বিষ্ণুপুরের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব। সৌম্যর বাবা বলেন, আমার ছেলের এগিয়ে যাওয়ার পথে শহরের প্রতিটি মানুষের আশীর্বাদ কাজে আসবে। সুভাষ ক্লাবের তরফে ছেলেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৬৯ সালে এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়। ক্লাবের বহু সদস্য বর্তমানে ভিনরাজ্যে ও ভিনদেশে থাকলেও তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সময় সুযোগ পেলে ক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁরা অংশগ্রহণ করেন। ক্লাবে ধুমধাম করে সরস্বতী পুজো হয়। এদিন মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সৌম্যকে সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা নিজেরাও গর্বিত।