• ঝাড়গ্রাম পুরসভায় কর্মীদের ফাঁকিবাজি রুখতে হাজিরা এবার বায়োমেট্রিকে
    বর্তমান | ০৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম পুরসভায় কর্মীদের ঢিলেঢালা কাজে বদল আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কর্মীদের ফাঁকিবাজি রুখতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হবে। স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে। ঠিকাকর্মীদের দৈনিক কাজের তথ্য, ছবি ও লোকেশন পুরসভায় পাঠাতে হবে। সপ্তাহভিত্তিক কাজের তথ্য নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে।

    ঝাড়গ্রাম পুরসভায় রয়েছে ১৮টি ওয়ার্ড। পুরসভায় ১৭জন তৃণমূলের এবং সিপিআইয়ের মাত্র একজন কাউন্সিলার রয়েছেন। পুরবোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিংয়ে একাধিক কাউন্সিলারের গরহাজির থাকার অভিযোগ রয়েছে। যার প্রভাব পুরসভার সার্বিক কাজকর্মে পড়ছে। পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্জ্য পড়ে থাকা নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এছাড়াও ড্রেন পরিষ্কার না হওয়া, রাস্তায় বৈদ্যুতিক আলো না জ্বলা, খানাখন্দ-ভরা রাস্তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ঝাড়গ্রাম পুরসভার স্থায়ী ও ঠিকাকর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে কাউন্সিলাররাই অভিযোগ তুলেছেন। পুরসভার পরিস্থিতি সামলাতে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে আসরে নামতে হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই কাজে ফাঁকি দিলে পুরকর্মীদের কাউকেই রেয়াত না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পুরসভার কাজে গতি আনতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পুরসভার কর্মীদের হাজিরার জন্য এবার দ্রুত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা হবে। ঠিকাকর্মীরা দৈনিক কী করছেন, তার তথ্য, ছবি ও লোকেশন পুরকর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যাবে। স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে। 

    পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছবি দাস বলেন, সকাল ১১টার পরেও অনেক কর্মী কাজে আসেন না। তাঁদের জন্য কাউন্সিলারদেরই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। ফোন করে কর্মীদের ডেকে আনতে হয়। জরুরি কাজ বাকি পড়ে থাকে। পুরসভায় ন্যূনতম কর্মসংস্কৃতি না থাকায় কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে। শহরের বাসিন্দারা জরুরি কাজে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুখী সরেন বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ায় কাজের পরিধি বেড়ে গিয়েছে। পুরসভায় ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হচ্ছে। কাজে আরও গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভায় খুব দ্রুত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হবে। কর্মসংস্কৃতির উন্নতিতে জোর বাড়ানো হচ্ছে। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, পুরসভার পরিষেবামূলক কাজে অবহেলা করা যাবে না। যাঁরা ফাঁকি দেবেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হবে। পুরসভার স্থায়ী ও ঠিকাকর্মীদের কাজকর্ম এবার নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)