সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: ফের খড়্গপুর আইআইটির হস্টেল থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম মহম্মদ আসিফ কামার(২১)। তাঁর বাড়ি বিহারের শিওহর জেলার গারাহিয়া গ্রামে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আসিফ। আইআইটির মদনমোহন মালব্য হলের এসডিএস ব্লকের ১৩৪ নম্বর রুমে থাকতেন। রবিবার ভোরে পুলিস হস্টেলের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল অনিকেত ওয়ালকার নামে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই দিনটাও ছিল রবিবার। তার আগে ১২ জানুয়ারি রবিবার সাওন মল্লিক নামে আরও এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। গত চার মাসে তিন জন মেধাবী ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
আইআইটি কর্তৃপক্ষ এদিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভোর ৩টে নাগাদ বাইরের সূত্র থেকে নিরাপত্তা বিভাগের জরুরি নম্বরে একটি ফোন আসে। বলা হয় মহম্মদ আসিফ কামার নিজের ক্ষতি করেছেন। এই খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা আধিকারিক ও কর্মীরা তাঁর রুমের সামনে যান। খবর পেয়ে পুলিসও ঘটনাস্থলে আসে। এরপর আসে আইআইটির প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেখানে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি ওই ছাত্রের বাড়িতে জানানো হয়। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। সেই তদন্তে আইআইটি কর্তৃপক্ষ সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিসের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা পুলিস দেখছে। বাইরে থেকে আসা ফোনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিস। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কথা বলা হবে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আসিফ ছুটিতে বাড়ি যাবেন বলে ব্যাগপত্র গুছিয়ে রেখেছিলেন। শনিবার রাত থেকেই তাঁর রুমের দরজা বন্ধ ছিল। সহপাঠীরা বহুবার ডেকেও তাঁর কোনও সাড়া পাননি। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, বাইরের কোন সূত্র থেকে ফোন এসেছিল এবং ওই ছাত্র আগের দিন রাতে কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।