সংবাদদাতা, কাটোয়া: ধান কাটার মরশুমে হারভেস্টার, ট্রাক্টরের চলাচলে রাস্তার দফারফা হচ্ছে। ট্রাক্টর, হারভেস্টারের চাকার কাদায় ভরে যাচ্ছে রাস্তা। পিচ্ছিল রাস্তায় প্রায়ই উল্টে যাচ্ছে বাইক, গাড়ি। নাজেহাল হচ্ছে মানুষ। পুলিস-প্রশাসনের লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচারের পরেও ছবিটা বদলাচ্ছে না। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েত ট্রাক্টরের মালিকদের থেকে ৫০০ টাকা ও হারভেস্টারের মালিকদের দু’ হাজার টাকা করে নিচ্ছে রাস্তা পরিষ্কারের জন্য। শনিবার বিকেলে কাটোয়া-২ ব্লকে কাটোয়ার মহকুমা শাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, বিডিও দাঁড়িয়ে থেকে মাঝিয়ারি গ্রামের রাস্তা জেসিবি দিয়ে পরিষ্কার করিয়েছেন। কাটোয়ার মহকুমা শাসক অহিংসা জৈন বলেন, প্রতিটি ব্লককে বলা হয়েছে, ট্রাক্টর মালিকদের বলা হয়েছে জমি থেকে রাস্তায় ওঠার আগেই কাদা যেন পরিষ্কার করা হয়। তা না হলে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ধান কাটা শেষ করে গাড়ি জমি থেকে রাস্তায় উঠলেই কাদা ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তাজুড়ে। কালবৈশাখীর কারণে এমনিতেই মাটি ভিজে থাকছে। ফলে জমিতে হারভেস্টার নামলে চাকায় কাদা লাগছেই। কাটোয়া-কড়ুই রাজ্য সড়কে কৈথন থেকে অর্জুনডিহি পর্যন্ত ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছে। কৈচর-বড়ডাঙা রাস্তায় ক্ষীরগ্রাম থেকে কৈথন পর্যন্ত রাস্তা কাদায় ভর্তি। সিঙ্গি থেকে হাঁপানিয়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্রাক্টর, হারভেস্টার মালিকরা জমিতে ধান কাটতে ঘণ্টায় চার হাজার টাকা করে নিচ্ছে। তারা রাস্তায় ওঠার আগে কেন জমির কাদা পরিষ্কার করছে না। কৈথন ক্যাম্পের পুলিস রাতারাতি নতুনগ্রামে রাস্তায় কাদা পরিষ্কার করিয়েছে। কেতুগ্রাম থানার পুলিস লাগাতার প্রচার করছে। পাশাপাশি ট্রাক্টর মালিকদের দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করানো হচ্ছে। মঙ্গলকোটের কুড়ুম্বা, মুরুলিয়া গ্রামের ঢালাই রাস্তাগুলিতে কাদা পড়ে রাস্তার দফারফা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকারের তৈরি রাস্তার বেহাল অবস্থা করছে ট্রাক্টর মালিকদের একাংশ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন বাসিন্দারা। -নিজস্ব চিত্র