নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মেডিক্যালে ভর্তির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট দেশজুড়ে নির্বিঘ্নে হল। তবে প্রশ্নপত্র নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। কমবেশি প্রত্যেকেরই অভিযোগ, যথেষ্ট কঠিন হয়েছে নিটের তিন বিষয়—ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজির প্রশ্নপত্রই। শুধু কঠিন নয়, প্রশ্ন হয়েছে অপ্রত্যাশিত দীর্ঘও। তার জেরে ১৮০টি প্রশ্নের উত্তর শেষ করতে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে অনেকের।
রবিবার দেশের পাঁচশোর বেশি শহরের ৫ হাজার ৪৫৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২২ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি পড়ুয়া পরীক্ষায় বসার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা চলে। আর চেনা বিতর্ক চাড়া দিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রও। রবিবার রাজস্থান থেকে ৩ জন এবং ওড়িশা থেকে ৪ জনকে এই সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এর মধ্যে ওড়িশা থেকে ধৃত চারজন একই গ্যাংয়ের সদস্য। তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরীক্ষার্থী পিছু ২০-৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। এই গ্যাং নিট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বদলে ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসাত। ভুবনেশ্বরের স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট তাদের হাতেনাতে ধরে। চারজনের মধ্যে দু’জন ওড়িশার, একজন বিহার ও একজন ঝাড়খণ্ডের। রাজস্থানের ঘটনাটিতে ধৃতরা এক পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারকে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে গুরুগ্রাম নিয়ে চলে যায়। ৪০ লাখ টাকা দাবি করে। এরপরই পুলিসি হস্তক্ষেপে ধরা পড়ে অভিযুক্তরা।
প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গে পরীক্ষা-প্রস্তুতিতে দীর্ঘদিন যুক্ত শিক্ষক ডাঃ এ কে মাইতি বলেন, ‘এমন দীর্ঘ প্রশ্ন করার মানেটা কী? প্রশ্নে পাণ্ডিত্য দেখানোর জায়গা কি নিট? মনে রাখতে হবে তার আগে ১০ প্লাস টু’র সিলেবাস পড়তে হয়। ১০ প্লাস টু বোর্ডের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কহীন প্রশ্ন এসেছে।’ একই দাবি করেছেন বহু পরীক্ষার্থী।